• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

চাঁদা দাবির মামলায় দুই পুলিশ সদস্য কারাগারে


FavIcon
নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১, ১১:০৭ এএম
চাঁদা দাবির মামলায় দুই পুলিশ সদস্য কারাগারে
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানার দুই পুলিশ সদস্য ও তাদের দুই সোর্সেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হলে কারাগারে প্রেরণ করে দেয়া হয়। তাদের বিরুদ্ধে মাদক দিয়ে গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবি করার মামলা রয়েছে। গতকাল শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) গ্রেপ্তার করা হয় ওই দুই পুলিশ সদস্যকে। তারা হলেন- শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইউসুফ আলী ভুইয়া ও সহকারী পরিদর্শক (এএসআই) জিয়াউর রহমান। আজ রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) আদালতের শেরেবাংলা নগর থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া যায়।
জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহজাহান মন্ডল। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসি শুনানি শেষে রিমান্ড নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।গতকাল শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুই পুলিশের বিরুদ্ধে নিজেদের কর্মস্থল শেরেবাংলা নগর থানায় ভিকটিম আমির হোসেন বাদী হয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগ একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলার আসামিরা হলেন, পুলিশ উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইউসুফ আলী ভুইয়া ও সহকারী পরিদর্শক (এএসআই) জিয়াউর রহমান এবং তাদের দুই সোর্স সোহাগ ও নাদিম।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাদী আমির হোসেন গত ০৯ সেপ্টেম্বর সাংগঠনিক কাজে আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসে আসেন। পার্টি অফিস থেকে বন্ধু অভির সাথে তার বাসা সাভার উদ্দেশ্যে রওনা হন। রাস্তায় জ্যাম থাকার কারণে তারা সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে সামনে নেমে যান। এরপর আসামি ইউসুফ মোটরসাইকেল করে এসে বাদীকে বলেন তারা সোর্সের মাধ্যমে জানতে পেরেছে তার কাছে মাদক আছে। পরে জিয়াউর রহমান ও আরও দুই আসামি পুলিশের সোর্স বাদীকে তল্লাশি করে মাদক না পাওয়ায় বাদীর মোবাইল ফোন ও সঙ্গে থাকা ১৭ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এরপর বাদী ও বাদীর সঙ্গে থাকা বন্ধু অভিকে ওই দুই পুলিশ সদস্য যক্ষ্মা হাসপাতালে সামনে নিয়ে গিয়ে বাদীর কাছে আরও ১৩ হাজার টাকা দাবি করে।

তখন বাদী বলেন, তার সিটি ব্যাংকে একাউন্টে ১৩ হাজার টাকা আছে। এরপর তাকে হাতকড়া পরিয়ে দুই সোর্স সিটি ব্যাংকের বুথে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে বাদী ডাক-চিৎকার করলে আসামিরা পালিয়ে যায়।

বাদী অভিযোগে আরও বলেন, বাদী এটিএম বুথ থেকে তার সঙ্গে থাকা পরিচিত বন্ধু অভির কাছ থেকে জানতে পারে, বাদীকে যখন এটিএম বুথে নিয়ে যায় এ সময় অভির মায়ের কাছ থেকে আসামিরা বিকাশের মাধ্যমে ৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়। মামলার অপর দুই আসামি পুলিশের সোর্স সোহাগ ও নাদিমকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।


Side banner
Link copied!