• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ফুলবাড়ীতে খেলা মাঠ দখলের অভিযোগে বিক্ষোভ-মানববন্ধন


FavIcon
অমর চাঁদ গুপ্ত অপু, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) :
প্রকাশিত: মে ২৮, ২০২২, ০৮:৫৭ পিএম
ফুলবাড়ীতে খেলা মাঠ দখলের অভিযোগে বিক্ষোভ-মানববন্ধন
ছবি: সংগৃহীত

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে খেলা ও মেলার মাঠ দখলের অভিযোগ এনে ওয়ার্ড কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর বিক্ষোভসহ মানববন্ধনের প্রতিবাদে শনিবার (২৮ এপ্রিল) সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মাজেদুর রহমান।

সকাল সাড়ে ১১ টায় ফুলবাড়ী প্রেসক্লাব সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মাজেদুর রহমান। 

লিখিত বক্তব্যে ওয়ার্ড কাউন্সিল মাজেদুর রহমান বলেন, গত বুধবার (২৫ মে) এলাকাবাসীর ব্যানারে সরকারি জমির খেলা ও চড়ক পূজার মেলার মাঠ দখলের অভিযোগ এনে আমার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিলসহ উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানববন্ধন করেছে এলাকার পতিপয় ব্যক্তি। যার সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হয়েছে। আমাকে সামাজিক ও মানসিকভাবে হেয় করার জন্য গ্রামবাসীর একাংশকে ভুল তথ্য দিয়ে ওই বিক্ষোভসহ মানববন্ধন করানো হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, আমি ও আমার পরিবারের লোকজনরা বিনিময় দলিলমূলে মৌজার ১৯২ সি.এস, এস.এ ২৬২ ও ২৬৬ খতিয়ানে ১৮১৬ দাগে মোট ২ দশমিক ৭৮ একর জমি প্রাপ্ত হই। ১৯৬৪ সাল থেকে আমি সেই জমি ভোগদখল করে আসছি। চলতি ১৪২৯ বাংলা সন পর্যন্ত খাজনাও পরিশোধসহ নিজ নামে মাঠ পর্চাও রয়েছে। খতিয়ান-৯৫০৫, বর্তমান দাগ ৯৫১৮, ৯৫১৯, ৯৫২০ মোট সম্পত্তি ২ দশমিক ৭৮ একর। এসব জেনেও একটি ষড়যন্ত্রকারি কুচক্রিমহল একতরফাভাবে জমিকে খাস বলে প্রচার চালিয়ে গ্রামবাসীর মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।

তিনি বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের দাবির প্রেক্ষিতে উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসন গত মার্চ মাসে ১৮১৫ দাগের জায়গাটি শ্মশান কমিটিকে ব্যবহারের মৌখিক অনুমতি দেয়। শ্মশান কমিটি উক্ত জমি বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘেরা দিলে আমার ১৮১৬ দাগের কিছু অংশ তাদের মধ্যে চলে যায়। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করলে গত ২ এপ্রিল উপজেলা সার্ভেয়ার, পৌর সার্ভেয়ারসহ আশপাশের জমি মালিক ও শ্মশান কমিটির উপস্থিতিতে ১৮১৬ দাগের সীমানা নির্ধারণ ও নকশা করে দেন। ১৮১৫ দাগের জায়গা মেপে শ্মশান কমিটিকে বুঝিয়ে দেন। প্রশাসন আমার জমির সীমানা নির্ধারণ করে দেয়ায় আমি উক্ত জমিতে ধৈঞ্চা চাষ ও গাছ রোপন করেছি। ওই মহলটি গ্রামবাসীকে ভুল বুঝিয়ে আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করিয়েছে। তারা ১৮১৬ দাগে খাসজমি হিসেবে উপস্থাপন করছে। তারা স্কুল চলাকালীন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গিয়ে তাদের হাতে ভুলে ভরা প্ল্যাকার্ড ধরিয়ে দেয়। আমি একজন নির্বাচিত কাউন্সিল। আমার ও আমার পরিবারের সুনাম ক্ষুন্ন করতেই কুচক্রিমহল কথিত মানববন্ধন করেছে। মিথ্যা এই কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তদন্ত পূর্বক মিথ্যা অপপ্রচারকারি ওই কুচক্রিমহলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল কাশেম আকন্দ, সহকারী শিক্ষক মো. মোশাররফ হোসেন মন্ডল, মো. মোকলেছুর রহমান, মো. শফি উদ্দিন মন্ডল, মো. আব্দুল খালেক, মো. রেজওয়ানুর রশিদ রান প্রমুখ গ্রামের সুধিজন। 


Side banner
Link copied!