
যার জীবনের যাত্রার শুরুটা হয় বালু বিক্রি করে। বর্তমানে তিনি সমগ্র সিরাজগঞ্জের একক নিয়ন্ত্রক বালু মহলের। শুধু সিরাজগঞ্জ নয় টাঙ্গাইল জেলায়ও রয়েছে তার বালুর একাধিক পয়েন্ট।
রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় গড়ে তুলেছেন বালু মহলের বিশাল সাম্রাজ্য। আর এই সাম্রাজ্যের একক সম্রাট তিনি।
আমরা যার কথা বলছি, তিনি আর কেউ নন সিরাজগঞ্জ শহরের ১০ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও ১০ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি হাজী আব্দুস সাত্তার ওরফে বালু সাত্তার। হজ্জ করে এসে নামের পূর্ব হাজী শব্দটি যোগ করে এখন তিনি হাজী আব্দুস সাত্তার নামে পরিচিত। তবে খুব অল্প সংখ্যক লোকজন তাকে হাজী আব্দুস সাত্তার নামে চেনেন। জেলার অধিকাংশ লোকজনের নিকট তিনি বালু সাত্তার হিসেবে পরিচিত ।
তার একক সাম্রাজ্যের শুরুটা হয় সাবেক শ্রমিক নেতা নাসির হত্যার মাধ্যমে। এ হত্যা মামলার অন্যতম আসামীও ছিলেন তিনি। তবে জেল খাটতে হয়নি তাঁকে। প্রায় দু'কোটি টাকার বিনিময়ে মামলার বাদীর সাথে আপোষ মিমাংসা করে, নিজেকে আইনের হাত থেকে রক্ষা করে নেন।সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার আমলে তিনি ১০ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়ে, দুর্দন্ত দাপটের সাথে একের পর এক সাম্রাজ্যের বিস্তার ঘটিয়েছেন। তার টাকায় সিরাজগঞ্জে আওয়ামী লীগের রাজনীতি চলতো বলে একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আওয়ামী লীগের দীর্ঘ রাজত্বের সময় তিনি আওয়ামী লীগের পদধারী নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন সর্ব মহলে।
৫ আগষ্ট ২০২৪ সালে ছাত্র - জনতার গণআন্দোলনের মুখে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যায়। আর তার পালিয়ে যাওয়ায় সাথে সাথে হাজী আব্দুস সাত্তার ওরফে বালু সাত্তার আত্মগোপনে চলে যান। পরবর্তীতে টাকার বিনিময়ে জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সাথে আঁতাত করে রাতারাতি নিজেকে বিএনপির লোক বলে দাবি করেন। এমনকি নিজের বালু মহলের বিশাল সাম্রাজ্য টিকিয়ে রাখতে কমিশন দিয়ে তিনি বিএনপিতে এসেছেন বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক সূত্র থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বর্তমানে তিনি দান - খয়রাত ও প্রতি শুক্রবার দুপুরে এলাকার গরীব লোকজনকে খাওয়াচ্ছেন এমন দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ও কিছু লোকাল পত্রিকায় প্রকাশিত। এতে সচেতন নাগরিকদের ধারণা তিনি পূর্বের অপকর্ম আড়াল করতে লোক দেখানো প্রচারণা চালাচ্ছেন। এব্যাপারে তার বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার মুঠোফোনে কল করলেও সেটি বন্ধ পাওয়া ।
আপনার মতামত লিখুন :