• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

টাকা ছাড়া কাজ করেনা ভূমি কর্মকর্তা আবুল মনসুর


FavIcon
নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১২, ২০২৩, ১২:৫৪ পিএম
টাকা ছাড়া কাজ করেনা ভূমি কর্মকর্তা আবুল মনসুর
ছবি - সংগৃহীত

কক্সবাজার জেলা টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। ওই অফিসের ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা (তহসিলদার) আবুল মনসুর টাকা ছাড়া কোন কাজই করেন না। ভূমি সংক্রান্ত যে কোন সেবার বিনিময়ে তিনি হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা। এই অফিসে গ্রাহকদের হয়রানি নিত্তনৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সরেজমিনে জানা গেছে,সদর ভূমি অফিসে নামজারি, জমাভাগ, খাজনা আদায়, জমির পর্চা (খসড়া) তুলা সহ ভূমি সংক্রান্ত সকল কাজে সরকারি নিয়মকে তোয়াক্কা না করে অনৈতিক ভাবে বাড়তি টাকা নেয়া হচ্ছে। চুক্তির টাকা ছাড়া কোন ফাইলই নড়ে না। টাকা না দিলে নির্ধারিত সময়ে কোন কাজ আদায় করা যায় না। এই  ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গ্রাহক থেকে বাড়তি টাকা নেয়ার পরও বিভিন্ন ভাবে হয়রারি করছে এমনটাই অভিযোগ উঠেছে।

সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অগোচরে মাঠ পর্যায়ের বাহারছড়া ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছে বলে জমির কাজে আসা ভূক্তভোগীরা বলছেন ।

ভূমি অফিসে আসা এক গ্রাহক (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানান, এই অফিসের কর্মকর্তা আবুল মনসুর ভূমি অফিসে কাজে আসা গ্রাহকদের কাজ সম্পাদনের বিষয়ে টাকার বিনিময়ে চুক্তি করেন।

সেবা প্রাপ্তির ২০ শতাংশ লোকই চরম হয়রানির শিকার হতে হয় আজ না-কাল সময়ক্ষেপন করে। সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে অতিরিক্ত হারে দাবিকৃত উৎকোচ না দিলে সেবা গ্রহীতারা পান না তাদের কাঙ্খিত সেবা।

ভূক্তভোগীরা আরও জানান, এই ভূমি অফিসের দুর্নীতি এমন চরমে পৌঁছেছে সরকারি নীতিমালার বাইরে চুক্তি অনুযায়ী মোটা অংকের ঘুষ ছাড়া কোন হয় না। নামজারির তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ২০ হাজার থেকে মোটা অংক টাকা আদায় করে এই অফিসের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন স্তরে ভাগ দেয়ার কথা বলে।

এ বিষয়ে ভূমি কর্মকর্তা আবুল মনসুরের কাছে জানতে চাইলে মুঠোফোনে একাধিক বার ফোনে করেও তার মতামত নেয়া সম্ভব হয়নি। ভুক্তভোগীদের দাবী এই কর্মকর্তার দুর্নীতি রোধে দুদকের সু-হস্তক্ষেপ জরুরি।
 


Side banner
Link copied!