• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতিবন্ধীর ওপর হামলা ও নির্যাতন বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন


FavIcon
অমর চাঁদ গুপ্ত অপু, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) :
প্রকাশিত: মার্চ ৫, ২০২৪, ০৭:১৬ পিএম
প্রতিবন্ধীর ওপর হামলা ও নির্যাতন বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে শারীরিক প্রতিবন্ধী তাজুল ইসলামের ওপর হামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদ এবং বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নির্যাতিত তাজুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২ টায় উপজেলার এলুয়াড়ি ইউনিয়নের পশ্চিম খাজাপুর গ্রামের নিজ বাড়ীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শারীরিক প্রতিবন্ধী তাজুল ইসলাম।
হামলা ও নির্যাতনকারীদের বিচারের দাবিতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নির্যাতিত প্রতিবন্ধী তাজুল ইসলাম। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তিনি একজন শারীরিকভাবে অক্ষম প্রতিবন্ধী মানুষ। ২০১৫ সালের ১ মার্চে ২ লাখ ২০ হাজার টাকায় খাজাপুর একরামিয়া ফাজিল মাদ্রারাসার ২৫ শতক জমি ক্রয় বাবদ নন জুডিশিয়্যাল স্ট্যাম্পের ওপর বায়নানামা করে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা প্রদান করেন। বাকি টাকা তিন মাসের মধ্যে প্রদান করলে কর্তৃপক্ষ তাকে জমি রেজিস্ট্রি করে দেবেন বলে আশস্ত করেন। কিন্ত ৩ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও কর্তৃপক্ষকে বারং বার জমি রেজিষ্ট্রি দেওয়ার জন্য তাগিদ দেওয়ার পরও রেজিষ্ট্রি না দিয়ে টালবাহানা শুরু করেন। তখন থেকেই জমিটি তার দখলেই আছে এবং তিনিই ভোগ দখল করছেন। গত রবিবার (৩ মার্চ) সকাল ১০ টায় মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুস সালাম প্রামাণিক ও তার ভাই আসাদ প্রামাণিক আমার কাছে ১ লাখ টাকা ধার চান এবং জমি রেজিস্ট্রি দেয়ার কথা বলেন। আমি দিতে অসম্মতি প্রকাশ করলে তারা চলে যান। ওইদিন রাত ১০ টায় আবারো তারা আমার বাড়ীর সামনে আসেন।
তখন আমি হুইলচেয়াররে বসে বাড়ীর সামনে একরামুলের চায়ের দোকানে চা পান করছিলাম। তখন তারা আবারো আমার কাছে টাকা চান। আমি টাকা দিতে অস্বীকার করলে আসাদ প্রামাণিক আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে লাথি মারলে আমি হুইলচেয়ার থেকে মাটিতে পড়ে যাই। তখন তারা কয়েকজন মিলে আমাকে কিলঘুষি মারতে থাকেন। একপর্যায়ে আমি চিৎকার করলে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আমাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসা শেষে গত ৪ মার্চ মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাহাবুব হাফেজ, সালাম প্রামাণিক ও আসাদ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে ফুলবাড়ী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করি। তিনি আরো বলেন, প্রতিপক্ষরা আমাকে প্রাণনাশসহ বাড়ীতে হামলা করার হুমকি প্রদান করেছে। আমি প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আমার জীবনের নিরাপত্তাসহ পরিবারের নিরাপত্তা চাই। একইসাথে হামলা ও নির্যাতনকারীদের বিচার চাই। সংবাদ সম্মেলনে নির্যাতনের শিকার শারীরিক প্রতিবন্ধী তাজুল ইসলামের মা সুফিয়া বেগম, ভাই বাবুল হোসেন, আরেক ভাই আকরাম আলী, ভাগনা রিফাত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুস সালাম প্রামাণিক মুঠোফোনে বলেন, তাজুল ইসলাম নিজে নিজেই প্রতিবন্ধী সেজেছে। তাজুল ইসলামের আনা অভিযোগ সম্পূর্ণরুপে মিথ্যা, বানোয়াট ও কল্পনা প্রসূত। তাকে মারপিট কিংবা তার কাছে কোনো প্রকার টাকা চাওয়া হয়নি।


Side banner
Link copied!