• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

গৃহবধূকে গলাকেটে হত্যা, গলায় ক্ষত অবস্থায় প্রেমিক উদ্ধার


FavIcon
নেত্রকোনা প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০২০, ১২:৩৪ পিএম
গৃহবধূকে গলাকেটে হত্যা, গলায় ক্ষত অবস্থায় প্রেমিক উদ্ধার

পূর্বধলায় আজ রবিবার ভোর রাতে লিপি আক্তার (৩৫) নামের এক গৃহবধূকে নিজ ঘরে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় ওই ঘরে গলায় ক্ষত অবস্থায় রাসেল মিয়া (৩০) নামের এক যুবকে উদ্ধার করা হয়। নিহত লিপি উপজেলা সদরের পূর্বধলা পশ্চিমপাড়া গ্রামের আজিজুল ইসলামের স্ত্রী। আর রাসেল একই বাড়ির আলাল উদ্দিনের ছেলে ও আজিজুলের চাচাতো ভাই।পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, লিপির স্বামী আজিজুল বিজিবিতে পঞ্চগড়ে কর্মরত। আলিফ নামের তাদের ১২ বছরের এক ছেলে আছে। লিপি তার ছেলেকে নিয়ে বাড়িতেই থাকেন। ঘটনার দিন রাতে লিপি তার ছেলেকে নিয়ে নিজ ঘরের এক পাশে ও লিপির দেবর সিরাজুল ইসলাম তার স্ত্রীকে নিয়ে একই ঘরের অন্য পাশে ঘুমাচ্ছিলেন।সিরাজুল জানান, রাত তিনটার দিকে হঠাৎ ঘরে ঘুঙ্গানির শব্দ শুনে তারা জেগে দেখেন ঘরের মেঝেতে লিপি ও রাসেল গলাকাটা অবস্থায় পড়ে আছে। তখন তাদের ডাক চিৎকারে বাড়ির লোকজন এসে আহত দুইজনকে উদ্ধার করে পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক লিপিকে মৃত ঘোষণ করেন ও রাসেলকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।লিপির শ্বশুর জালাল উদ্দিন জানান, তার ছেলে আজিজুল প্রায় ১৫ বছর আগে বিজিবিতে যোগদান করেন। এর কিছু দিন পর উপজেলার জারিয়া গ্রামে বিয়ে করেন। তাদের দাম্পত্য জীবন ভালো চললেও গত ৩/৪ বছর ধরে লিপির সঙ্গে রাসেলের পরকিয়ার সম্পর্কের কথা শোনা যাচ্ছিল। এক সপ্তাহ আগে তার ছেলে আজিজুল ছুটিতে বাড়িতে এসে এ নিয়ে পারিবারিক ভাবে দেনদরবার করে কর্মস্থলে ফিরে যায়। কি কারণে ও কীভাবে ঘটনাটি ঘটেছে তা তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না।খবর পেয়ে নেত্রকোনা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জুয়েল পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মোরশেদা খাতুন, পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমান, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রফিকুল ইসলাম ও ময়মনসিংহ থেকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রামই সিন ইউনিটের একটি দল ঘটনাস্থ পরিদর্শন করেছে।এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মোরশেদা খাতুন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্তমাখা ছুরি (কাগজ কাটার এন্টিকাটার) উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও ঘটনার প্রকৃত কারণ বলা যাচ্ছে না। তদন্ত চলছে।

 


Side banner
Link copied!