• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

উলিপুরে গৃহবধূকে রাতভর আটকে গণধর্ষণ


FavIcon
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: অক্টোবর ১০, ২০২০, ০৮:৪৮ পিএম
উলিপুরে গৃহবধূকে রাতভর আটকে গণধর্ষণ

কুড়িগ্রামের উলিপুরে এক গৃহবধূকে রাতভর আটকে রেখে পালাক্রমে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে শনিবার থানায় মামলা করলে পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৫ সেপ্টেম্বর উপজেলার রাজারঘাট এলাকায়।মামলা ও গৃহবধূর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উলিপুর পৌরসভার ওই গৃহবধূ (২৫) এক সন্তানের জননী। তার স্বামীর অনুপস্থিতিতে প্রতিবেশী মোহাম্মদ আলীর পুত্র ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম (৩০) তাদের বাড়িতে আসতেন এবং তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিতেন। এক পর্যায়ে ওই গৃহবধূকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন রবিউল ইসলাম।ঘটনার দিন গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে রবিউল ইসলাম ওই গৃহবধূকে নতুন করে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে মোবাইল ফোনে ডেকে নেন। রবিউল ইসলাম ওই গৃহবধূকে উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের রাজারঘাট গ্রামের জনৈক আবু বক্করের ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে একটি ঘরে আটকে রেখে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।এ সময় রবিউল ইসলামের সঙ্গী ওই এলাকার সেফাত উল্যার ছেলে কায়ছার আলী (৪০), ফকর উদ্দিনের ছেলে সোবহান আলী লিটন (৪২), আবুল হোসেনের ছেলে মমিনুল ইসলাম (৩৮) ওই গৃহবধূকে রাতভর পালাক্রমে জোরপূর্বক করে। পরদিন ২৬ সেপ্টেম্বর সকালে ওই গৃহবধূকে ঘরের মধ্যে একা রেখে তারা সটকে পড়ে। এরপর গৃহবধূ নিরুপায় হয়ে অটোরিক্সাযোগে চিলমারী উপজেলাধীন তার পিতার বাড়িতে চলে যান।গৃহবধূর শ্বশুর অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার কয়েক দিন পর তার ছেলের স্ত্রী বাড়িতে ফিরে এলে রবিউল ইসলাম পুনরায় তাকে কুপ্রস্তাব দেয়। এতে ওই গৃহবধূ রাজি না হলে রবিউল ইসলাম গণধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ করার ভয় দেখাতে থাকে। এতে গৃহবধূ নিরুপায় হয়ে বাদী হয়ে ১০ অক্টোবর রবিউল ইসলামসহ ৫ জনের নামে উলিপুর থানায় মামলা করেন। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে আবু বক্কর, কায়ছার আলী, সোবহান আলী লিটন ও মমিনুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। কিন্তু মামলার মূল আসামি রবিউল ইসলামকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।এ বিষয়ে ওই এলাকার কাউন্সিলর আনিছুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার ফোন নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।উলিপুর থানার ওসি (তদন্ত) রুহুল আমীন জানান, গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার চারজনকে শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করার জন্য কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

 


Side banner
Link copied!