
নড়াইলে বেসরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অরুণ রায় (৭২) খুনের ঘটনায় ওই বাড়ির সাবেক ও বর্তমান তিন কেয়ারটেকার ও এক ভ্যানচালককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতেই তাদের আটক করা হয়।আটক কেয়ারটেকার তিনজন হলেন- বিপুল বিশ্বাস, বিধান রায় ও অরবিন্দু দাস। আটক ভ্যানচালকের নাম জানা যায়নি।শুক্রবার রাতে সদরের ব্যানাহাটি গ্রামের নিজ বাড়িতে অরুণ রায়ের গলা কাটা লাশ পাওয়া যায়। তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) খুলনার উপ-পরিচালক নিভা রাণী পাঠকের স্বামী।এদিকে শনিবার ময়নাতদন্ত শেষে দুপুরে নিহতের বাড়ি বেনাহাটিতে লাশ পৌঁছালে এই শিক্ষককে এক নজর দেখতে এলাকার শতশত লোক ভিড় করেন। এ ঘটনায় শুক্রবার রাত থেকে তদন্তে নেমেছে পিবিআই, সিআইডি ও র্যাব। খুলনার বঠিয়াঘাটা বেসরকারি কলেজ থেকে ২০০৮ সালে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে অবসর নেন।পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, অরুণ রায় সদরের তুলারামপুর ইউনিয়নের ব্যানাহাটি গ্রামের নিজ বাড়িতে একা বসবাস করতেন। তার স্ত্রী, এক ছেলে (প্রকৌশলী ইন্দ্রজিৎ রায়) এবং এক মেয়ে (চিকিৎসক ইন্দিরা রায়) চাকরির সুবাদে জেলার বাইরে থাকতেন। তারা ছুটিতে বাড়ি আসতেন। শুক্রবার তার পরিবারের সদস্যরা সারাদিন অরুণ রায়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও তাকে পাননি। পরে সন্ধ্যার পর নিভা রাণী পাঠক ও তার ছেলে ইন্দ্রজিৎ রায় বাড়িতে এসে মই বেয়ে দোতলার দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করেন। এরপর ঘরের মধ্যে একটি কক্ষে অরুণ রায়ের গলা কাটা লাশ পান তারা।ইন্দ্রজিত রায় বলেন, 'বাবার সঙ্গে মায়ের সর্বশেষ বৃহস্পতিবার বিকেলে কথা হয়। শুক্রবার সারাদিন ফোনে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। বাড়িতে বাবা একাই থাকতেন। তবে একজন কাজের লোক দেখাশোনা করত। শুনেছি পূজার ছুটির কারণে তারা দু’দিন বাড়িতে আসেনি। শুক্রবার সন্ধ্যায় আমি ও মা মই বেয়ে ওপরে উঠে দরজা ভেঙে দেখি বাবা আর নেই। এ সময় একটি ঘরের লাইট ও ফ্যান চলছিল। ধারণা করা হচ্ছে বৃহস্পতিবার রাতের কোনো এক সময়ে তাকে হত্যা করা হয়। বাড়ির সিন্দুকে রাখা প্রায় ২ লাখ টাকা, অলংকার এবং জমির কাগজপত্র সব কিছুই ঠিকঠাক ছিল। এছাড়া বাড়ির কোনো কিছু খোয়া যায়নি।এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম বলেন, এ ঘটনায় বাড়ির বর্তমান ও পুরোনো তিন কেয়ারটেকার এবং স্থানীয় এক ভ্যানচালককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তবে এখনও মামলা হয়নি বলে তিনি জানান।
আপনার মতামত লিখুন :