• ঢাকা
  • সোমবার, ২৬ মে, ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

মসজিদ থেকে জুতা চুরি করে সদরঘাটে বিক্রি করেন জয়


FavIcon
অনলাইন ডেস্ক:
প্রকাশিত: মে ২৫, ২০২৫, ০৭:৫৭ পিএম
মসজিদ থেকে জুতা চুরি করে সদরঘাটে বিক্রি করেন জয়

মাত্র ৫ দিনের ব্যবধানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে আরেক জুতা চোরকে হাতেনাতে ধরেছেন শিক্ষার্থীরা। পরে শিক্ষার্থীরা তাকে গণধোলাই দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করেন। প্রশাসন থেকে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।

সোমবার (২৫ মে) জোহরের নামাজ চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।এর আগে গত ২০ মে মসজিদের মুয়াজ্জিন মো. শফিকের সহায়তায় মো. জাহাঙ্গীর নামে জুতা চোরকে আটক করেন শিক্ষার্থীরা। 

 

জানা যায়, আজ নামাজের সময় মসজিদের মুয়াজ্জিন মো. শফিকের নজরে এলে শিক্ষার্থীদের সহায়তায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তার ব্যাগ থেকে একাধিক জোড়া জুতা উদ্ধার করা হয়।আটক ব্যক্তির নাম জয় (৩৫)।তার বাবার নাম আবুল হোসেন। তার বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলায়। 

 

জুতা চুরির বিষয়টি স্বীকার করে জয় বলেন, ‘আমি এক বছর ধরে ঘুরে ঘুরে জুতা চুরি করে চলছি। বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার পর আমি কোনো কাজ পাইনি।পরে জুতা চুরি শুরু করি। নারায়ণগঞ্জ, পোস্তগোলাসহ বিভিন্ন স্থানে এ কাজ করেছি। এখন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ধরা পড়লাম। এবার প্রথমবারের মতো মার খেলাম। এর আগে কেউ মারেনি।

তিনি আরও বলেন, ‘জুতা চুরি এখন আমার পেশা। চুরি করা জুতা সদরঘাটে বিক্রি করি।’

মুয়াজ্জিন মো. শফিক বলেন, ‘গতকালও তিনি মসজিদ থেকে পাঁচ জোড়া জুতা চুরি করে নিয়ে যায়। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাকে শনাক্ত করা হয়েছিল। আজ তিনি আবার আসলে শিক্ষার্থীরা তাকে নজরে রাখে এবং চুরির সময় হাতেনাতে ধরে ফেলে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, ‘তাকে প্রাথমিকভাবে প্রক্টর দপ্তরে রাখা হয়েছিল। পরে আমরা স্থানীয় প্রশাসন ও তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করি এবং তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিই। তার ব্যাগে একাধিক জোড়া চুরিকৃত জুতা পাওয়া গেছে।’

ক্যাম্পাসের মসজিদের নিরাপত্তার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘জগন্নাথে এখন চুরি করে কেউ পার পাবে না। ক্যাম্পাসজুড়ে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে এবং প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ চালানো হচ্ছে।’

কোতোয়ালি থানার তদন্ত কর্মকর্তা নাসিরউদ্দিন বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে একজন চোরকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


Side banner
Link copied!