• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

করোনাকালে গর্ভবতী মায়ের যত্নআত্তি


FavIcon
অনলাইন ডেস্ক:
প্রকাশিত: জুলাই ১১, ২০২১, ০৭:৩৯ পিএম
করোনাকালে গর্ভবতী মায়ের যত্নআত্তি

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাদ যাচ্ছেন না কেউই। করোনার একের পর এক ঢেউয়ে বিপর্যস্ত জনজীবন। শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক, এমনকী গর্ভবতী নারীরাও এই সংক্রমণের শিকার হচ্ছেন। অনেক নবজাতক শিশুর দেহেও করোনাভাইরাস-এর অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছে। এই কারণে এই সময়ে হবু মায়েদের অনেক বেশি সতর্ক থাকা প্রয়োজন। হবু সন্তানের কথা ভেবে গর্ভবতী মায়েরা দুশ্চিন্তায় না থেকে কিভাবে সুস্থ থাকা যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।  

একটা বিষয় খুব ভালোভাবে জেনে রাখা প্রয়োজন, সেটা হলো নিতান্ত দরকার না পড়লে গর্ভবতী মায়েদের এখন বাড়ির বাইরে যাওয়া উচিত নয়। সেটা লকডাউনের পরেও। হাসপাতাল বা চিকিৎসকের কাছে যদি যাওয়া দরকার হয় তাহলে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে যেতে হবে।

গর্ভবতী মায়েরা সর্বদা দুটি মাস্ক ব্যবহার করবেন। খাওয়া, মুখ ধোয়া, গোসল করা এবং ঘুমানোর সময় ছাড়া সবসময় মাস্ক পড়ে থাকবেন।

গর্ভাবস্থায় টিকা'র বিষয়ে সচেতনতার প্রয়োজন। গর্ভবতী মায়েদের এখন করোনা'র টিকা নেওয়ার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকের সংগে কথা বলে অবশ্যই দ্রুত টিকা নিতে হবে হবু মায়েদের। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অন্যান্য ওষুধও খেতে হবে নিয়ম করে।

বাড়ির অন্যান্য সদস্যদেরও গর্ভবতী মায়েদের জন্য বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। বাড়িতে কারো হাঁচি, সর্দি কিংবা জ্বর হলে কোনোভাবেই হবু মায়ের কাছাকাছি যাওয়া যাবে না।

বর্ষাকালে গর্ভবতী মায়ের সর্দি-কাশি হতে পারে। তেমন হলে গরম পানিতে গার্গল করবেন, অসুখটাকে বাড়তে দেবেন না। যদি এর সংগে শ্বাসকষ্ট থাকে তখন করোনাভাইরাস সংক্রমণের কথা ভাবতে হবে ও প্রয়োজনে পরীক্ষা করাতে হবে।

প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ফাইবার, প্রোটিন, কার্বোহাইট্রেট জাতীয় খাবার রাখতে হবে। প্রতিদিন অবশ্যই দুটি করে ফল খেতে হবে। অনাগত শিশুর পুষ্টির জন্য এই সময় প্রোটিন খুবই দরকার। এই কারণে নিয়মিত খাদ্যতালিকায় অঙ্কুরিত ছোলা, মুগ, ডিম ও চিজ রাখতে পারেন। এছাড়াও খাদ্য তালিকায় রাখুন ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার।

বাড়ির সকলের সংগে সময় কাটান। বিশেষ করে স্বামীর সংগে বেশি সময় কাটান। কোনো ধরনের মানসিক সমস্যা হলে তাঁর সংগে শেয়ার করুন। 

অনেক হাসপাতালই সংক্রমণের কারণে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। জরুরি প্রয়োজনে কয়েকটি হাসপাতালের খোঁজ নিয়ে রাখুন। বিশেষ করে যেসব গর্ভবতী নারী অল্প কিছুদিনের মধ্যে সন্তান প্রসব করবেন সেই পরিবারের এই খোঁজ রাখাটা জরুরি।  


Side banner
Link copied!