• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

জাজিরা উপজেলায় দলীয় প্রতীক বিহীন নির্বাচনী প্রচারনা জমজমাট


FavIcon
নুরুজ্জামান শেখ, শরীয়তপুরঃ
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৭, ২০২২, ০১:৩৬ পিএম
জাজিরা উপজেলায় দলীয় প্রতীক বিহীন নির্বাচনী প্রচারনা জমজমাট
জাজিরা উপজেলায় দলীয় প্রতীক বিহীন নির্বাচনী প্রচারনা জমজমাট

ষষ্ঠধাপে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আগামী ৩১জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।দলীয় প্রতীক বিহীন এ নির্বাচনের প্রচার -প্রচারনা এখন জমজমাট। নানা ক‍ৌশলে প্রার্থীরা ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। দলীয় প্রতীক না থাকায় প্রচার-প্রচারনায় নূতনমাত্রা যোগ হয়েছে।সারা দেশে বাংলেদেশ অওয়ামীলীগের দলীয় প্রতীক নৌকা মার্কা নিয়ে  চেয়ারম‍্যান প্রার্থীগণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলায় নৌকা প্রতীক নেই। এ দুজেলার অভ‍্যন্তরীণ কোন্দল সামাল দিতে দলীয় হাইকমান্ড এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। 
এদিকে নৌকা মার্কা না থাকলেও স্থানীয় এমপি -মন্রীগন প্রতিটি ইউনিয়নেই তাদের পছন্দের প্রার্থীকে জয়ী করতে নানা কৌশলে কাজ করছেন। এতে করে যে দলীয় কোন্দল আরো বেশী করে মাথা চড়া দিয়ে উঠছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতারাও নানাভাগে বিভক্ত হয়ে পছন্দের প্রার্থীকে জিতিয়ে আনতে মরিয়া হয়ে উঠছে। ফলে ভোটারদের কদরও বেড়েছে।ষষ্ঠধাপে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার জাজিরা,বড়কান্দি, সেনেরচর ও নাওডোবা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আনুষ্ঠিত  হবে।এ ৪ ইউনিয়নে চ‍েয়ারম‍্যান পদে ৩০জন প্রার্থী,  সংরক্ষিত মহিলা সদস‍্য পদে৫৪জন ও সাধারণ সদস‍্য পদে১২৩জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এবং জাজিরা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদে নুর মোহাম্মদ ও বড় কান্দি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে রফিকুল ইসলাম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে। এই চার ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা ৪৯হাজার ৭৮৭ জন। জাজিরা উপজেলার ষষ্ঠ ধাপে ৪ ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন হবে ইভিএম পদ্ধতিতে। তবে এই ইভিএম পদ্ধতিতে কিছু চেয়ারম্যান প্রার্থী আগ্রহ এবং কিছু চেয়ারম্যান প্রার্থী অনাগ্রহ প্রকাশ করেন এমনটাই বললেন গণমাধ্যমকে।স্থানীয় এমপি,মন্রীদের হস্তক্ষেপের কারনে নির্বচন কতটা সুষ্ঠু হবে এ নিয়ে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কোন কোন প্রার্থী প্রভাবমুক্ত হবেনা বলে শঙ্কিত। আবার কেউ কেউ নিরপেক্ষ নির্বিচনের আশাবাদ ব‍্যক্ত করেছেন।জাজিরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মাস্টার গণমাধ্যমকে বলেন ইভিএম ভোট পদ্ধতি ভোটারদের কাছে  একেবারেই নতুন। ইভিএম পদ্ধতিতে কিভাবে ভোট দিতে হয় এই ব্যাপারে ভোটারদের সচেতন করলে ভালো হতো।                                                                                                                              ইভিএম সম্পর্কে ভোটারদের মনে কোন ভয় থাকবে না।

এ প্রসঙ্গে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা রির্টানিং কর্মকর্তা মনজুর হোসেন খান জানান সকল ধরনের চাপ ও তাপ উপেক্ষা করে একটি অবাধ,  সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।


আরও পড়ুন

Side banner
Link copied!