• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

চট্টগ্রামে তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায়, গ্রেফতার ৩


FavIcon
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :
প্রকাশিত: মে ৮, ২০২২, ০৯:৪৬ পিএম
চট্টগ্রামে তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায়, গ্রেফতার ৩
চট্টগ্রামে তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায়, গ্রেফতার ৩

চট্টগ্রাম মহানগরীর শাপলা আবাসিক এলাকায় এক তরুণীকে (২২) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (৭ মে) সন্ধ্যা থেকে রাত পৌনে ১২টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, রোববার (৮ মে) সকালে তাদের চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হলে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গ্রেফতাররা হলো- চট্টগ্রামের বোয়ালখালী থানার কধুরখীল চমদ আলী বাড়ির সাইফুদ্দিন ওরফে সাইফুল মিস্ত্রির ছেলে মো. নয়ন (১৯), কুমিল্লার নাঙ্গলকোট থানার দক্ষিণ শ্রীহাশ্বর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ (২৩) এবং চাঁদপুরের শাহরাস্তি থানার নরিমপুর আলী আকবরের বাড়ির মো. সোলাইমানের ছেলে মো. আবদুল লতিফ (২২)। তারা মীর আউলিয়া মাজারের আশপাশের কলোনিতে বসবাস করতো।

পুলিশ জানিয়েছে, সম্প্রতি ওই তরুণী মায়ের সঙ্গে রাগ করে কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রামে আসেন। টাকা না থাকায় ট্রেনে কুমিল্লা ফিরতে না পেরে হেঁটে শনিবার (৭ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আকবরশাহ থানার শাপলা আবাসিক এলাকার মীর আউলিয়া মাজারের পাশে একটি ঘরের সামনে ক্ষুধার্থ ও ক্লান্ত অবস্থায় বসে ছিলেন। পরে ওই তিন যুবক তাকে পাহাড়ের ঢালে একটি নির্জন বাড়িতে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এতে তরুণী অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে ফেলে পালিয়ে যায় তারা।

পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ওই তরুণীকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন।

এদিকে ঘটনার পর শনিবার সন্ধ্যায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে আকবার শাহ থানাধীন জঙ্গল লতিফপুর পাহাড়ি এলাকা থেকে আরিফকে, পাকা রাস্তার মাথা এলাকা থেকে নয়নকে এবং রাত পৌনে ১২টার দিকে বন্দর থানাধীন পোর্ট কানেক্টিং রোডের নিমতলা এলাকা থেকে আবদুল লতিফকে গ্রেফতার করে। তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতার আরিফ ও নয়নের বিরুদ্ধে আগে থেকেই অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়, ধর্ষণের মামলা রয়েছে। ওসব মামলায় হাজতবাসের পর জামিন পেয়ে আবারও অপকর্মে জড়িত হয় তারা। তাদের বিরুদ্ধে নারী-শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ আইনে মামলা হয়েছে।


 


Side banner
Link copied!