• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

মতলবে বিনা অনুমতিতে চলছে এগ্রো এক্স লিমিটেড কার্যক্রম


FavIcon
সমির ভট্টাচার্য্য
প্রকাশিত: মার্চ ২৮, ২০২৩, ০৭:৪৮ পিএম
মতলবে বিনা অনুমতিতে চলছে এগ্রো এক্স লিমিটেড কার্যক্রম
ছবি: সংগৃহীত

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই চলছে এগ্রো এক্স লিমিটেডের গো-খাদ্য তৈরীর কার্যক্রম । এতে ব্যহত হচ্ছে অর্থকরী ফসল ভুট্রার পরিপূর্ণ উৎপাদন এবং ভোগান্তিতে জন সাধারন লস গুনতে হচ্ছে ফসল উৎপাদনকারী কৃষকদের, এতে দুর্গন্ধে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ,সৃষ্ঠ হচ্ছে স্বাস্থ্যহানি জনিত জীবাণু । 

 

সরজমিনে দেখা যায়,উপজেলার নায়েরগাঁও ইউনিয়নের এর আইসিডিডিআরবি হাসপাতাল সংলগ্ন পেন্নাই সড়কের উত্তর পাশে অস্থায়ী ভাবে গড়ে উঠেছে এগ্রো এক্স নামক প্রতিষ্ঠানের গো-খাদ্য তৈরীর অস্থায়ী কারখানা। এখানে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জমি থেকে পরিপূর্ণ ভূটা ফলনের আগেই ভূটার গাছ ক্রয় করে চলছে গো খাদ্য তৈরীর বিশাল কর্মযজ্ঞ। 

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুট্রাগাছ সংগ্রহকারীর কাছ থেকে জানা যায়,ওজন অনুযায়ী ফার্ম কর্তৃপক্ষের নিজ খরচে প্রতি কেজি ৭ টাকা দরে, কৃষক নিজে কেটে আনলে ১৪ টাকা। প্রতি ড্রামট্রাকে ১৪ টন মাল ধারন ক্ষমতা রাখে। প্রতি শতাংশ জমির ভুট্রা গাছ কিনা হয় ৭০০ টাকায়। এতে ৩০ শতাংশ জমির কচি ভুট্রা গাছ ২১ হাজার টাকায় ক্রয় করেন কৃষকের কাছ থেকে ফার্ম মালিক। 

 

এ বিষয়ে একাধিক কৃষকরা জানান অধিক লাভের কারনে আমরা ভূটার অপরিপুর্ণ গাছ বিক্রি করে আবারও ভূটা চাষ করেছি । 

 

এ বিষয়ে এগ্রো এক্স লিমিটেড দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাসির হোসেন বাবু বলেন আমরা কতৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই কার্যক্রম চালাচ্ছি ।

 

ইউনিয়ন কৃষি উপ-সহকারী অফিসার মিন্টু দাস বলেন, কৃষকরা তাদের নিজ জমির ভূটা গাছ বিক্রি করলে আমাদের কি করার আছে । এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছি ।  

 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফয়সাল মহাম্মদ আলী বলেন,ফসল পরিপুন্য হওয়ার আগে কৃষক তাদের নিজ জমির ভূটা গাছ বিক্রি করছে আবার সেই জমিতে নতুন করে ভুট্রার চাষ করছে কৃষক । 

 

বিনা অনুমতিতে কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসাইন বলেন,গো খাদ্য তৈরী করতে হলে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র লাগবে বিষয়টি আমি দেখবো ।

 

 


Side banner
Link copied!