• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২২ জুলাই, ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২

মুজিববর্ষ পালন ও ম্যুরাল প্রকল্পে ‘দুর্নীতি’, ৬৪ জেলায় দুদকের চিঠি


FavIcon
অনলাইন ডেস্ক:
প্রকাশিত: জুলাই ২১, ২০২৫, ০২:০৭ পিএম
মুজিববর্ষ পালন ও ম্যুরাল প্রকল্পে ‘দুর্নীতি’, ৬৪ জেলায় দুদকের চিঠি

দেশজুড়ে মুজিববর্ষ পালন ও শেখ মুজিবুর রহমানের ১০ হাজার ম্যুর‍াল নির্মাণের আর্থিক হিসাব চেয়ে দেশের ৬৪ জেলায় চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগ অনুসন্ধানে উপপরিচালকের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি টিম অনুসন্ধানের দায়িত্ব পালন করছে। সোমবার (২১ জুলাই) দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

 সূত্র জানিয়েছে, ৬৪ জেলা পরিষদ বরাবর পাঠানো চিঠিতে মুজিববর্ষ পালনে কত টাকা ব্যয় হয়েছে, ব্যয় করা মন্ত্রণালয়ের নাম, ব্যয়িত অর্থের পরিমাণ, ব্যয়ের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তার নাম-পরিচয় জানতে চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে জেলায় কতগুলো ও কোথায় ম্যুরাল তৈরি হয়েছে, ম্যুরাল নির্মাণে কত টাকা খরচ হয়েছে ও ব্যয়ের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তার পরিচয় জানতে চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে।

নথি তলবের চিঠিতে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে শেখ মুজিবের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ পালন ও শেখ মুজিবের ১০ হাজারেরও বেশি ম্যুরাল ও ভাস্কর্য নির্মাণ করে ওই অর্থ অপচয় ও ক্ষতিসাধন করার অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করা একান্ত প্রয়োজন। তাই রেকর্ডপত্র দ্রুত দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।
 
বিভিন্ন দফতর থেকে পাওয়া তথ্যনুযায়ী, জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানোর আগে দেশে শেখ মুজিবুর রহমানের ১০ হাজারের বেশি ম্যুরাল, ভাস্কর্য ও প্রতিকৃতি স্থাপন করে আওয়ামী লীগ সরকার। টানা ১৫ বছর ধরেই ভাস্কর্য, ম্যুরাল ও প্রতিকৃতি তৈরির মহোৎসবে মেতে উঠেছিল দলটি। অভিযোগ রয়েছে, অপ্রয়োজনীয় ম্যুরাল ও ভাস্কর্য তৈরিতে ৪ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত ব্যয় হয়ে থাকতে পারে। শুধু তাই নয়, পুরো প্রকল্পই ছিল প্রশ্নবিদ্ধ।


Side banner
Link copied!