• ঢাকা
  • শনিবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৫, ৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

রিকশাচালকের ছেলে থেকে ‘কোটিপতি’ কক্সবাজার পিআইও অফিসে আবছার মিয়ার দৌরাত্ম্য


FavIcon
নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২৫, ০৬:০২ পিএম
রিকশাচালকের ছেলে থেকে ‘কোটিপতি’ কক্সবাজার পিআইও অফিসে আবছার মিয়ার দৌরাত্ম্য

কক্সবাজার সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসে (পিআইও) অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক হিসেবে কর্মরত মোহাম্মদ আবছার মিয়া ব্যাপক দুর্নীতি, অনিয়ম এবং ফাইল বাণিজ্যের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় তিনি একই কর্মস্থলে দীর্ঘদিন চাকরি ধরে রেখে পিআইও অফিসকে নিয়ন্ত্রণ করতেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রামুর ফতেখাঁরকুলের এক দরিদ্র পরিবারে জন্ম আবছার মিয়ার। তার বাবা আব্দু শুক্কুর ছিলেন স্থানীয় একটি হোটেলের রিকশাচালক। সীমাহীন কষ্টে সন্তানকে পড়ালেখা করালেও সরকারি চাকরিতে প্রবেশের পর আবছার মিয়ার জীবন পাল্টে যায় নাটকীয়ভাবে।

মাত্র আট বছর আগেও তার পরিবার ছিল নিম্নবিত্ত। কিন্তু এখন—ডুপ্লেক্স বাড়ি,ইটভাটা,স্কেভেটর,প্রাইভেটকার সহ একাধিক জমি।

এসব সম্পদের মালিক তিনি ও তার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়রা। যা তার সরকারি বেতন-ভাতা দিয়ে কোনোভাবেই অর্জন সম্ভব নয়।

স্থানীয় সূত্র বলছে—কাবিখা, কাবিটা, ত্রাণের প্রকল্প, ঘর নির্মাণ,প্রকল্প অনুমোদন,বাস্তবায়ন প্রতিবেদন,অর্থ ছাড়
সবকিছুতেই আবছারের ‘কমিশন’ ছাড়া কোনো কাজ অগ্রসর হতো না।

বিশেষ করে মুজিব বর্ষের ঘর নির্মাণ প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম ও সরাসরি ঠিকাদারি কাজ করে তিনি লাখ লাখ টাকা আয় করেছেন।

অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী আবছার মিয়া বা তার আত্মীয়দের নামে রয়েছে—রেলস্টেশন সংলগ্ন ২০ শতাংশ জমি,বাইপাস ব্র্যাক অফিসের পাশে ১৫ শতাংশ জমি,ব্র্যাক অফিসের পশ্চিমে ২০ শতাংশ জমি,উখিয়ার ঘোনা এলাকায় জমি সাবেক আওয়ামী লীগ সভাপতির কাছ থেকে কেনা জমি
বাইপাস এলাকায় একাধিক জমি এ ছাড়া বাণিজ্যিক সম্পদ—এনএস ব্রিকফিল্ড (ইটভাটা)স্কেভেটর, প্রাইভেট কারকম্পিউটার দোকান।

স্থানীয়রা বলছেন—“আসল মালিক আবছার—কিন্তু অধিকাংশ দলিল তার বাবা, ভাই, বোন বা আত্মীয়দের নামে।”

অভিযুক্ত আবছার মিয়ার বক্তব্য জানতে তার মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

স্থানীয়দের দাবি—“সরকারি চাকরির বেতনে এমন বিপুল সম্পদ গড়া অসম্ভব।”

বর্তমান সরকারের সময়েও আবছার মিয়ার দৌরাত্ম্য থামেনি। পিআইও অফিসের এই ব্যাপক দুর্নীতির চিত্র উদঘাটনে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর জরুরি এবং পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রয়োজন।


Side banner

অপরাধ বিভাগের আরো খবর

Link copied!