• ঢাকা
  • শনিবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৫, ৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

চট্টগ্রাম বন্দরের সব প্রবেশমুখে অবরোধের ডাক


FavIcon
নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২৫, ০৭:০৮ পিএম
চট্টগ্রাম বন্দরের সব প্রবেশমুখে অবরোধের ডাক

চট্টগ্রাম বন্দরের স্থাপনা বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)। আগামী ২৬ নভেম্বর সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বন্দরের তিনটি প্রধান প্রবেশপথ—আগ্রাবাদ, বড়পোল ও মাইলের মাথা—সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ থাকবে।

শনিবার অনুষ্ঠিত শ্রমিক কনভেনশনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন স্কপের যুগ্ম সমন্বয়ক ও বন্দর সিবিএর সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী শেখ নুরুল্লাহ বাহার। তিনি অভিযোগ করেন, হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সরকার নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দিতে গোপনে চুক্তি সম্পন্নের চেষ্টা করছে।

নুরুল্লাহ বাহার বলেন, “আদালত স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন—মামলার শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত এনসিটি নিয়ে কোনো চুক্তির কার্যক্রম নয়। কিন্তু সরকার আদালতের আদেশ অমান্য করে ২৫–২৭ নভেম্বর ঢাকায় বৈঠকের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বন্দরের ভবিষ্যৎ ধ্বংসের এই চক্রান্ত শ্রমিকরা মেনে নেবে না।”

স্কপের নেতারা বলেন, বন্দর বিরাষ্ট্রীয়করণ, পাটকল ইজারা, রাষ্ট্রীয় শিল্প বন্ধ করে দেওয়া—সরকার শ্রমিক ও দেশের স্বার্থবিরোধী সিদ্ধান্তে অটল। এ অবস্থায় বন্দরের অস্তিত্ব ও শ্রমিক অধিকার রক্ষায় সর্বাত্মক আন্দোলন ছাড়া পথ নেই।

শ্রম সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহাম্মদ বলেন,
“বন্দর দখল হলে দেশের অর্থনীতিই বিপর্যস্ত হবে। শ্রমিকরা রাস্তায় লড়ছে, কিন্তু ব্যবসায়ীরা নীরব। এখন সবাইকে একসাথে জাতীয় আন্দোলনে নামতেই হবে।”

কনভেনশনে স্কপের ৯ দফা দাবি তুলে ধরা হয়—
অভিন্ন শ্রম আইন, ট্রেড ইউনিয়নে স্বাধীনতা, অযৌক্তিক ছাঁটাই বন্ধ, ন্যূনতম মজুরি ৩০ হাজার টাকা, রেশন-আবাসন-পেনশন নিশ্চিতকরণ, বন্ধ রাষ্ট্রীয় শিল্প পুনরায় চালু এবং আউটসোর্সিং বন্ধ।

উল্লেখ্য, সরকার ইতোমধ্যে লালদিয়া চরের টার্মিনাল ডেনমার্কের এপিএম টার্মিনালসকে ৩৩ বছরের জন্য এবং পানগাঁও টার্মিনাল একটি সুইস প্রতিষ্ঠানের কাছে ২২ বছরের জন্য ইজারা দিয়েছে।


Side banner
Link copied!