চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরে বহু বছর ধরে গড়ে ওঠা দুর্নীতির সাম্রাজ্যের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন সিমকোর সিনিয়র একাউন্টস অফিসার মো. হেলাল—এমন ভয়াবহ অভিযোগ উঠে এসেছে বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্ট মহলের কাছ থেকে।
অভিযোগ অনুযায়ী, বন্দর ক্যাপ্টেন ফখরুল নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে একটি শক্তিশালী ঘুষ–সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। আর সেই সিন্ডিকেটের পরিচালক ও অর্থCollections প্রধান ছিলেন তার ভাই মো. হেলাল।
২০১৫ সালে ফখরুলের অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে নিয়োগ পাওয়া হেলাল বন্দরজুড়ে ঘুষ বাণিজ্যের রাজত্ব কায়েম করেন।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ—একটি ফাইল ক্লিয়ার করতে হেলালের সিন্ডিকেটকে দিতে হতো লক্ষাধিক টাকা থেকে শুরু করে কয়েক কোটি টাকা পর্যন্ত।
শিপিং এজেন্ট, সিএন্ডএফ এজেন্ট, ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার—সবাই তার টার্গেট।
বন্দরের প্রতিটি ধাপে হেলাল সিন্ডিকেটের বেআইনি ছড়ি-ঘোরানো ছিল একচেটিয়া—কনটেইনার রিলিজ,কার্গোহ্যান্ডলিং,ল্যান্ডিংস্টাফিং,ফাইল প্রসেসিং
ইনডেক্স পরিবহন মালিক সমিতিসহ একাধিক প্রতিষ্ঠানের অভিযোগ—“হেলালের সিন্ডিকেটকে টাকা না দিলে মাল ছাড়ে না, কনটেইনার সিল হয় না, ফাইল সামনে এগোয় না।”
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে—হেলাল চক্র প্রতি বছর গড়ে ১৩০ কোটি টাকার বেশি কালো টাকা হাতবদল করেছে।
এতেই স্পষ্ট—চট্টগ্রাম বন্দরের ভেতরে দুর্নীতি শুধু গভীর নয়, মাফিয়া–স্তরের।
ইতি পূর্বে গণমাধ্যমে "চট্টগ্রাম বন্দরে দূর্নীতির দায়ে বদলীকৃত কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন ফরিদ ও তার এজেন্ট হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে তার ছোট ভাই সিনিয়র অ্যাকাউন্টস অফিসার মো: হেলাল: গড়েছে বিশাল সম্পদ! "শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
বন্দর ক্যাপ্টেন ফখরুল বদলি হয়ে যাওয়ার পরও হেলাল সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য কমেনি।
বরং অভিযোগ অনুযায়ী, তারা এখনও হুমকি–ধমকি, সুবিধা আদায়, এবং ঘুষ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।
ফলে বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে, পাশাপাশি তৈরি হয়েছে বড় ধরনের অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার ঝুঁকি।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, সিনিয়র অ্যাকাউন্টস অফিসার মো: হেলাল বলে,আমি কোন অনিয়মের সাথে সম্পৃক্ত নই । বিস্তারিত আসছে ............।
আপনার মতামত লিখুন :