• ঢাকা
  • শনিবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৫, ৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

সিরাজগঞ্জে অসুস্থ নেতা-কর্মীদের পাশে জেলা বিএনপি নেতা মির্জা মোস্তফা


FavIcon
জহুরুল ইসলাম:
প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২৫, ০৮:২৪ পিএম
সিরাজগঞ্জে অসুস্থ নেতা-কর্মীদের পাশে জেলা বিএনপি নেতা মির্জা মোস্তফা

সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি'র সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা মোস্তফা জামান আবারও প্রমাণ করলেন যে রাজনীতি শুধু বক্তব্য, সভা-সমাবেশ বা দলীয় কর্মসূচির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় মানুষের দুঃখ-ব্যথায় পাশে দাঁড়ানোই একজন প্রকৃত রাজনীতিকের প্রধান দায়িত্ব। শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তিনি সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল, মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং নর্থ বেঙ্গল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি-জাসাস-ছাত্রদলের অসুস্থ নেতা-কর্মীদের খবর নিতে ছুটে যান। তাঁর এই সহমর্মী উপস্থিতি স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অসুস্থদের মধ্যে ছিলেন সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতা আসলাম তালুকদার, জাসাস নেতা সোহাগ হোসেন, সলংগা থানা বিএনপির নেতা নূর আলম, তাড়াশ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফুল ইসলাম জুয়েলসহ আরও কয়েকজন। প্রত্যেকের শারীরিক খোঁজ-খবর নিয়ে তাদের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন এবং বিভিন্ন চিকিৎসা-সংক্রান্ত সহযোগিতার আশ্বাস দেন মির্জা মোস্তফা জামান। শুধু দলের নেতা নয়, তাদের স্বজনদের সঙ্গেও কথা বলে তিনি আশ্বস্ত করেন যে বিএনপি পরিবার কাউকে অবহেলায় ফেলে রাখার রাজনীতি করে না।
হাসপাতাল পরিদর্শনের সময় তার সঙ্গে ছিলেন জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাইবুল হাসান, পৌর জাসাস সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শাওন আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান সোহাগ এবং পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আরিফসহ আরও কয়েকজন তরুণ নেতা। তরুণদের এই উপস্থিতি দলের অভ্যন্তরীণ ঐক্য ও সুশৃঙ্খল সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের প্রতিফলন হিসেবেও দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।

মির্জা মোস্তফা জামানের রাজনৈতিক জীবনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য তার মানবিক ও সহজ-সরল আচরণ। ছাত্র রাজনীতির সময় থেকেই তিনি নেতা নয়, পথপ্রদর্শক, সংগঠক ও সহমর্মী বন্ধু হিসেবে পরিচিত। দলে দায়িত্বে থাকার সময় তিনি সর্বস্তরের নেতা-কর্মীর সাথে যোগাযোগ বজায় রেখেছেন এবং সংকটের সময় পাশে দাঁড়িয়েছেন। করোনাকালেও তিনি বিভিন্ন স্থানে খাদ্য সহায়তা, ওষুধ বিতরণ এবং ত্রাণ কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। সেই ধারাবাহিকতার আরেকটি প্রতিচ্ছবি দেখা গেল এই হাসপাতাল পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে।
রাজনীতিতে শীতলতা কিংবা দলাদলি যখন বিশেষভাবে প্রকট হচ্ছে, তখন মির্জা মোস্তফা জামানের এই মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি সমালোচকদেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তরুণ প্রজন্ম তাকে একজন উদ্যমী, আধুনিক, সংগঠনমুখী ও মানবিক নেতা হিসেবে দেখছে। দলের অভ্যন্তরেও অনেকেই মন্তব্য করছেন তিনি সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও তার কার্যক্রম কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের মতোই সুগঠিত, পরিকল্পিত এবং সবার প্রতি সহমর্মিতাশীল।
এ ধরনের কর্মকাণ্ড স্থানীয় রাজনীতিকে শুধু শক্তিশালীই করছে না, বরং সাধারণ মানুষের মধ্যেও দলটির প্রতি ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি করছে। এক কথায় বলতে গেলে মির্জা মোস্তফা জামানের মানবিকতা এখন সিরাজগঞ্জ রাজনীতির নতুন ভাষা, নতুন অনুপ্রেরণা। তিনি আবারও প্রমাণ করলেন রাজনীতি ক্ষমতার বলয় নয়, মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার।


Side banner
Link copied!