• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

মতলবে সেতু আছে, সড়ক নেই, ভোগান্তিতে জনসাধারণ


FavIcon
সমির ভট্টাচার্য্য
প্রকাশিত: মার্চ ২৮, ২০২৩, ০৭:৫৩ পিএম
মতলবে সেতু আছে, সড়ক নেই, ভোগান্তিতে জনসাধারণ
ছবি: সংগৃহীত

মতলবে সেতু আছে নেই দুপাশের সংযোগ সড়ক । মতলব পৌরসভার সদর ৩ নং ও ৪ নং ওয়ার্ডের চরমুকুন্দি এলাকায় মতলব-বাবুরহাট খালের ওপর ৬৮ লাখ টাকায় সরকারিভাবে নির্মিত একটি সেতু দীর্ঘদিন ধরে অকেজো পড়ে আছে। এর দুই পাশে সংযোগ-সড়ক না থাকায় এ অবস্থা তৈরি হয়েছে। এতে সেতুর পাশে স্কুল, কলেজ মদ্রাসাহস ১০ গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষের যাতায়াতে ভোগান্তি হচ্ছে। 

 

এলাকাবাসীর অভিযোগ, পৌর কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতার কারনে সংযোগ-সড়ক নির্মিত হচ্ছে না। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয় সূত্র জানায়, মতলব পৌরসভার চরমুকুন্দি এলাকায় মতলব-বাবুরহাট খালের ওপর পিআইওর কার্যালয়ের উদ্যোগে ২০২১ সালে একটি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। নানা প্রক্রিয়া শেষে গত বছরের জানুয়ারিতে ৫০ ফুট দীর্ঘ ও ১৪ ফুট চওড়া ওই সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং গত অক্টোবরে কাজটি শেষ হয়। এতে ব্যয় হয় ৬৮ লাখ টাকা। চৌধুরী এন্টারপ্রাইজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নামে পৌর আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি সুকুমার ঘোষসহ বেশ কয়েক জন নেতা নির্মাণকাজটির দায়িত্ব পালন করেন । সরকারি শর্ত অনুসারে, ওই সেতু ও এর সংযোগ-সড়ক একই সঙ্গে নির্মাণ করার কথা। সেতু নির্মাণের দায়িত্ব নেয় পিআইও কার্যালয় এবং খালটির দুই পাশের জায়গা পৌরসভার আওতাধীন ব্যক্তি মালিকানায় থাকায় সংযোগ-সড়ক (অ্যাপ্রোচ-রোড) নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয় পৌরসভাকে। 

২৮ মার্চ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় চরমুকুন্দি এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, খালের মাঝখানে সদ্যনির্মিত ওই সেতু বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো দাড়িয়ে আছে। এর দুই পাশে সংযোগ-সড়ক নেই। সড়কের জায়গায় জমে আছে ময়লা-আবর্জনা। দুই পাশে সড়ক না থাকায় ওই এলাকার লোকজন সেতুটির ওপর দিয়ে যাতায়াত করতে পারছেন না। যানবাহনও চলছে না। সেতুটির দক্ষিণ দিকে খালের ওপর বাশেঁর একটি নড়বড়ে সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে কমলমতি শিশুসহ ছাত্র ছাত্রী ও স্থানীয় লোকজন। মালামাল আনা-নেওয়ায়ও সমস্যা হচ্ছে। সেতুর দুই পাশে সংযোগ-সড়ক নির্মাণের উদ্যোগও চোখে পড়েনি।   

চরমুকুন্দি এলাকার বাসিন্দা মো.ইকবাল হোসেন বলেন, এলাকাবাসীর দাবিতে সেতুটি নির্মিত হলো। অথচ সেতুতে ওঠা-নামার জন্য এর দুই পাশে সড়ক নেই। ১০ মাসের বেশি সময় ধরে বেহুদা পড়ে আছে সেতুটি। এলাকাবাসীর সামান্যতম কাজে আসছে না এটি। সংযোগ-সড়ক না থাকায় চরমুকুন্দি, কদমতলী, কলাদী, নবকলস, উদ্দমদী, চরনিলক্ষ্মী, কাজিরবাজার, মুনছবদি, শোভনকর্দী ও শীলমন্দি এলাকার প্রায় ৩০ হাজার লোকের খাল পারাপারে ভোগান্তি হচ্ছে। মালামাল ও পণ্যসামগ্রী আনা-নেওয়ায় খুব সমস্যা হচ্ছে। বাধ্য হয়ে পাশের একটি নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে যাতায়াত করছেন তাঁরা। এতে শিশু ও নারীদের বেশি সমস্যা হচ্ছে। খুদে শিক্ষার্থী ও শিশুরা সাঁকো থেকে পড়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে । পৌর কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই সংযোগ-সড়ক নির্মিত হচ্ছে না বলে অভিযোগ তাঁর।

উপজেলার পিআইও মো.রবিউল ইসলাম খান বলেন, সেতুটির দুই পাশে সংযোগ-সড়ক নির্মাণের দায়িত্ব স্থানীয় পৌরসভার। ওই সড়ক নির্মাণের জন্য পৌরসভাকে তাগাদা দেওয়া হচ্ছে। মতলব পৌরসভার মেয়র আওলাদ হোসেন বলেন, সেতুটির দুই পাশে সড়ক নির্মাণের যে জায়গা রয়েছে, সেটি নিয়ে জটিলতা রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জায়গা ছাড়তে চাচ্ছে না। এ ছাড়া সংযোগ-সড়ক নির্মাণের বরাদ্দও আসেনি। এসব কারণে ওই সড়ক নির্মাণে বিলম্ব হচ্ছে।

 

 


Side banner
Link copied!