![alokitonews24](https://www.alokitonews24.com/media/common/alokit-news-logo-5.png)
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে পরকীয়ার জেরে স্ত্রী রৌশন আক্তার লিপিকে (২৩) হত্যার দায়ে মো. ইসমাইল হোসেন সুজন (২৮) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় প্রেমিকা সুমি বেগমকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আসামিকে কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
রায় ঘোষণার সময় সুমি আদালতে উপস্থিত থাকলেও সুজন পলাতক রয়েছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ইসমাইল হোসেন সুজন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের ঘরোয়ার বাড়ির মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে। তার পরকীয়া প্রেমিকা সুমি আক্তার একই বাড়ির মো. সুমনের স্ত্রী।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. জসিম উদ্দিন বলেন, আদালতে আসামি ইসমাইল হোসেন সুজনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ধীতপুর গ্রামের আলেয়া বেগমের মেয়ে রৌশন আক্তার লিপির সঙ্গে মো. ইসমাইল হোসেন সুজনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর লিপি জানতে পারেন তার স্বামী সুমি নামে এক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত। এ নিয়ে তাদের কলহ হয়। প্রতিবাদ করায় সুজন লিপিকে বিভিন্ন সময় মারধরও করতেন।
বিষয়টি নিয়ে পারিবারিকভাবে একাধিকবার সালিশ বৈঠকে সুজনকে সতর্ক করেন তার স্বজনরা। ২০২০ সালের ২ মে সকালে তাদের ঝগড়া হয়। ওইদিন দুপুরে লিপির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে লিপির মা আলেয়া বেগম বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ দুই আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে।
বিবাদী পক্ষের আইনজীবী রাসেল মাহমুদ ভূঁইয়া মান্না বলেন, মামলাটি মূলত আত্মহত্যায় পরোচনার ছিল। কিন্তু ময়নাতদন্তে ভিকটিম লিপিকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে প্রতিবেদন আসে। হত্যার ঘটনায় আদালত ইসমাইল হোসেন সুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। কিন্তু সুমির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
আপনার মতামত লিখুন :