• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

দিনরাত মাদক সেবন, ব্যবসার নামে প্রতারণা করেন তরিকুল ইসলাম


FavIcon
বরিশাল প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: মে ১০, ২০২৩, ১২:৫৪ পিএম
দিনরাত মাদক সেবন, ব্যবসার নামে প্রতারণা করেন তরিকুল ইসলাম
ছবি - সংগৃহীত

জীবনটা গেল যার নেশায় কেটে। সে এখন ব্যবসা করে আসছে  প্রকাশ্যে। তার নেশার জীবন তার বিরুদ্ধে মামলা হলেও প্রশাসনের ধরাছোঁয়ার সাথে বাহিরে রয়েছে  তরিকুল ইসলাম।  কিছু ক্যামেরা বন্দি ছবিতে দেখা যায় নেশার জীবনটি ভালো কাটেছিল  তবুও তিনি সমাজে ভালো মানুষ।  টাকার সামনে প্রশাসনও দুর্বল এমন দৃশ্য ও খবর পাওয়া গেছে পিরোজপুরে। প্রশাসনের একাধিক অভিযান থাকা সত্ত্বেও ধরা পড়েননি এই মাদক ব্যবসায়ী এবং মাদক সেবনকারী তরিকুল ইসলাম তার গোটা জীবনে মাদক নিয়ে চলছে সাম্রাজ্য যেমন ইয়াবা, ফেনসিডিল, মদ, গাজা, চলছে তার প্রকাশ্য বিক্রি ব্যবসা করে কামিয়েছেন মোটা অংকের টাকা। আধৈ টাকার ক্ষমতার দাপটে সম্পর্ক গড়ে উঠেছেন সম্পর্ক গড়ে উঠেছেন রাজনীতি ব্যক্তিদের সাথে তিনি নিজেকে নিজে বড় মাপের নেতা পরিচয় দেয় এবং দানবীর অবৈধ টাকা দিয়ে কিনছে বালু  উঠানো বলগেট মেশিন ভারা  দিয়ে ভাড়াটিয়াদের সাথে চুক্তির নামে চলছে তার প্রতারণা বাণিজ্য এমন তো অভিযোগ পাওয়া গেছে তরিকুলের বিরুদ্ধে। এখানে দেখা যায়, থানা- মঠবাড়ীয়া, জেলা- পিরোজপুর, সাং ও পোঃ দেবত্র  বাসিন্দা  অলিউল ইসলাম ছেলে তরিকুল ইসলাম নামের এক মাদক ব্যবসায়ী লাইসেন্স বিহীন নদী থেকে বালু  উঠানো বলগেট জেলা- ঝালকাঠী থানা- রাজাপুর  সাং- কানুদাসকাঠী, ডাকঘর- কানুদাসকাঠী বাসিন্দা  মৃত খালেক হাওলাদার  মোঃ মোস্তফা হাওলাদার ছেলে  নিকট ভাড়া দেয় এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রেভিনিউ স্ট্যাম্পের   উপরে চুক্তিবদ্ধ আবদ্ধ হন। সেই চুক্তিবদ্ধ অনুযায়ী মোঃ মোস্তফা তার নিজ নামেও পূবালী ব্যাংক লিঃ, ভান্ডারিয়া শাখা, পিরোজপুর  ব্ল্যাংক চেক  দুইটি অংক বিহীন এ নামে চলতি হিসাব নং ১২০৭৯০১০২০২৫৭ এর চেক নম্বর CA 50 L NO. ৩৭৩৭৭৯৮ এ  প্রধান করেন তাং- ২৭/১১/ ২০২১ইং-।

প্রথম তরিকুল ইসলামের বিরুদ্বে আভিযোগ মোস্তফার :

চুক্তিবদ্ধ আবদ্ধ হওয়ার পর পরই তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ভালো চলছে তো ইতিমধ্যে প্রথম পক্ষ তরিকুল ইসলাম নেশার টাকা জোগাড় করতে বারবার তারাটিয়া মোস্তফা”কে অগ্রিম টাকা দিতে বলেন মোস্তফা তার নিজের বাড়ি বিক্রি করে ব্যবসায় লস হলেও নিয়মিত টাকা দিয়ে আসছেন অগ্রিম।  একপর্যায়ে ব্যবসা-বাণিজ্য ভালো হওয়ার সময় মুহূর্তে প্রথম পক্ষ তরিকুল ইসলাম তার লিখিত স্বার্থ ভঙ্গ করে বলগেট ফিরিয়ে  নেওয়ার কথা বলেন তা দিতে অস্বীকার করলে মোস্তফা। তাই মোস্তফা”কে বিভিন্ন মানুষ দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করেন প্রথম পক্ষ তরিকুল ইসলাম তাই মোস্তফা নিরুপায় হইয়া মোকাম বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাক্সিট্রেট আমলী আদালত রাজাপুর, ঝালকাঠী।  একটি সি. আর  মামলা নং-১৭৪/ ২১ইং- এই মামালায় আসামী করা হয়  ০১। মোঃ মোস্তফা হাওলাদার (৪০), পিতা- আঃ খালেক হাওলাদার সাং- কানুদাসকাঠী, পোঃ কানুদাসকাঠী, থানা-রাজাপুর, জেলা- ঝালকাঠী। —-বাদী। আসামী:
০১। মোঃ তরিকুল ইসলমা রুবেল (৪০), পিতা- ওলিউল ইসলাম আকন। সাং-দেবর, গো দেবার, থানা- মঠবাড়িয়া, জেলা- পিরোজপুর। ০২। মোঃ শহীদুল ইসলাম হাং (৩৮), পিতা- মৃতঃ আব্দুল হামেদ মাষ্টার সাং- দপ্তর পশরবুনিয়া, পোঃ পাটিয়ালঘাটা, থানা-কাঠালিয়া, জেলা- ঝালকাঠী। এছাড়া আরো অনেক আসামী আছে। নাম জানিনা কিন্তু দেখিলে চিনিতে পারিব।

ঘটনার স্থানঃ রাজাপুর কানুদাসকাঠী বাদীর বসতঘরের  সামনের উঠানে।
ঘটনার তারিখঃ বিগত ইংরেজী ২৪/১১/২০২১ তারিখ রোজ বুধবার। ঘটনার সময়ঃ সকাল আনুমানিক ১১ ঘটিকা। ধারাঃ ১৪৩, ৩২৩, ৪৪৭ ,৩৮৯, ৫০৬ (২ ) ফৌঃ  দঃ বিঃ।

০১। বাদী একজন সহজ সরল আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সামাজিক মানুষ, পক্ষান্তরে নিবাসীরা পরণিত লোভী, দাঙ্গা-হাঙ্গামা কারী ও অসামাজিক লোক হইতেছে। সামাজিক শৃঙ্খলা বিনষ্টকারী এ সকল দুর্বৃত্তরা যে কোন ধরনের অপরাধ সাধনে সীদ্ধহস্ত। ০২। প্রকাশ থাকে যে, ০১ ও ০২ নং বিবাদীর নিকট হইতে প্রায় ০১ (এক) বৎসর আগে মাসে ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা ভাড়ায় ০৬ (ছয়) মাসের চুক্তিতে ০২টি বালিকাটা ড্রেজার মেসিন ভাড়া নিয়া বাদী বালীর ব্যবসা শুরু করে। চুক্তির সময় ৩০০/- (তিনশত) টাকার স্ট্যাম্পে লিখিত চুক্তি হয় এবং বিবাদীরা ০২টি ব্ল্যাংক চেক স্বাক্ষর করিয়ে রাখেন।
০৩। চুক্তির ০৬ (ছয়) মাস অতিক্রান্ত হইলে বাদী ব্যাবসায়ীক মন্দার কারণে ড্রেজার মেসিন ফেরত দিতে চাইলেও বিবাদীরা মেসিন ফেরত না নিয়া এক রকম জোরপূর্বক ড্রেজার বাদীর নিকট রাখিয়া মাসিক ভাড়া আদায় শুরু করে। এমতাবস্থায়, বাদী বিভিন্ন গন্যমান্য ব্যক্তিগণের কাছে ড্রেজার ফেরত নেওয়ার জন্য বিবাদীদের প্রতি অনুরোধ জানালেও, বিবাদীরা ক্ষীপ্ত হইয়া বাদীকে বিভিন্ন রকম ভয়-ভীতি প্রদর্শন শুরু করে। যাহার ধারবাহিকতায় ঘটনার দিন, সময় ও স্থানে বিবাদীদ্বয় সহ আরো অজ্ঞাত নামা ১০-১২ জন লোক নিয়া অনধিকার প্রবেশ করিয়া বাণীর ফেরত না দিয়া ও যথানিয়মে প্রতিমাসের ভাড়া অগ্রিম প্রান্তে মাস পূর্ণ করিয়া জোরপূর্বক বাণীর নিকট হইতে ড্রেজার দুইটি নিয়া যাওয়ার বাণীকে হামলা করে। ৩১ ও ৩২ নং বিবাদী বাণীকে চর-গানের মারে এবং অন্যান্য সকল বিধানীসহ তাহাকে খুন করিয়া নদীতে ভাসাইয়া দেওয়ার হুমকি প্রদান করে। কোন বৈঠক ছাড়া কিংবা চেক ফেরত না চাহিয়া ছোৱ ফেরত না দিলে বাণীকে ইয়াবাসহ নানা রকম মাদক এবং মিথ্যা ধর্ষণের মামলা দিয়া আজীবন হাজতবাস করাইবে মর্মে হুমকি  প্রধান করেন । ঘটনার সাক্ষী প্রমাণ আছে, যাহারা আদালতে উপস্থিত হইয়া মামলা প্রমাণ।

দ্বিতীয় তরিকুল ইসলামের বিরুদ্বে আভিযোগ মোস্তফার :
একটি চেক উদ্ধারের মামলা করেন ৯৮ ধারা ঝালকাঠি এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সমন জারি করেন। বাদী অসুস্থতার কারণে কোর্টে উপস্থিত থাকতে পারেননি। তাই বিজ্ঞ আদালত মামলাটা খারিজ করে দেন। সেই সুযোগে তরিকুল ইসলাম মোস্তফার উপর অমানুষের নির্যাতন চালায়। নির্যাতন চালানোর পরে এক পর্যায়ে মোস্তফা নিরুপায় হইয়া তরিকুল মালামাল ফেরত দেওয়ার কথা বলেন। আপস মীমাংসা মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায় এবং বালু ওঠানো ড্রেজার মালিক সমিতির সেক্রেটারি সভাপতি মাধ্যমে আপস মীমাংসা হয়। তাং- ২৭/১১/ ২০২১ইং-। আপস মীমাংসার সময় সরকারি রেপ স্ট্যাম্পে সাক্ষী দের উপস্থিতিতে তরিকুলের মালামাল বুঝিয়ে দেওয়া হয়। মোস্তফার পক্ষ থেকে এবং মোস্তফার মালামাল যেগুলো তরিকুল ইসলামের কাছে জামানত ছিল দুইটি ব্যাংকের  ব্ল্যাংক চেক ও ব্যাটারিসহ অন্যান্য মালামাল সাত দিনের ভিতরে ফেরত দেওয়ার কথা থাকেন এবং লিখিত চুক্তিবদ্ধ হয়। তরিকুল ইসলাম ৭ দিন শেষ হল মোস্তফার মালামাল ব্যাংকের চেক সহ ফেরত দেয়নি। একাধিকবার গুড়িয়ে থাকেন এবং মোস্তফার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা দয়াল করেন। চেকের মামলা মামলাটি চলমান রয়েছে মামলাটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বানোয়াট উদ্দেশ্য মূলক কোন টাকা-পয়সার লেনদেন হয়নি । তারিকুল ইসলাম তার নিজের স্বার্থ হাসিল করার জন্য মোস্তফার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেন যাহার মামলা নং- ৬১/২২ ইং- তাং-১৯/০৩২০২২ইং-এখানেও দেখা যায় রেভিনিউ স্ট্যাম্পে তারিখের সাথে- মামলার তারিখ সাথে কোন মিল নাই। এ বিষয়ে যে ড্রেজার মালিক সমিতির সভাপতি- সেক্রেটারি সাথে জানতে চাইলে তারা গণমাধ্যমকে বলেন মোস্তফার সাথে তরিকুল কোন টাকা-পয়সার লেনদেন হয়নি। শুধু বালগেট ভাড়া নিয়েছে মোস্তফা তবে তরিকুলের কাছ তার বিনিময় পূবালী ব্যাংকের দুইটি ব্ল্যাংক চেক জামানত রেখেছে মোস্তফা। এবং যখন বলগেট তরিকুল”কে ফেরত দিয়েছে আমাদের সম্মুখে তখন রেভিনিউ স্ট্যাম্পে চেক ফেরত দেওয়ার কথা থাকে। সাত দিনের ভিতরে তরিকুল সেই পূবালী ব্যাংকের চেক ফেরত দেয়নি মোস্তফা”কে। এবং মোস্তফার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেন ৩২ লক্ষ টাকার তাই আমরা তরিকুলের বিচার চাই। তরিকুল একজন মাদক ব্যবসায়ী মোস্তফার নিরপরাধী তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছেন এ বিষয়টি জানিয়েছেন ড্রেজার মালিক সমিতির কর্তৃপক্ষরা।


অপরদিকে অনুসন্ধানে পাওয়া যায়, তরিকুল ইসলাম একজন মাদক ব্যবসায়ী ও নারী লোভী মাদক সেবনকারী চাঁদাবাজ প্রকৃত লোক বটে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। এবং মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও হামলা দেওয়া তার নেশা ও পেশা বটে। এলাকায় একজন মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারী হিসেবে পরিচিত তার অত্যাচার মা বোনদের নিরাপদ নেই। অভিযোগের পাহাড় নিয়ে প্রশাসনের ধরাছোঁয়ার বাহিরে রয়েছেন এই তরিকুল ইসলাম। ইতিমধ্যে প্রশাসনের মাদকসহ নানান অভিযানের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন তরিকুল ইসলাম। মাদক বিক্রি করে মোটা অংকের টাকার মালিক হয়ে এলাকার মানুষের উপর জুলুম নির্যাতন অত্যাচার করে আসছন তরিকুল। তেমনি তরিকুল বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হওয়ার শর্ত ন্যায় বিচার পারছেন না ভুক্তভোগীরা। তাই জনগণ জানতে চাই তরিকুলের ক্ষমতা শেষ কোথায়। তরিকুলের কি প্রশাসনের চেয়েও ক্ষমতার অধিকারী বেশি এ নিয়ে প্রশ্ন এলাকার মানুষের। মাদকের যুব সমাজ নষ্ট পথে মাদক ছড়িয়ে দিচ্ছে এই তরিকুল এতে স্কুল-কলেজের ছাত্র এবং ছাত্রী নষ্ট হয়ে যাচ্ছেন তরুন যুব সমাজ মাদকের কারনে তাই তরিকুল ইসলামকে আইনের আওতায় আনার প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এলাকার মানুষ।দিন যায় রাত আসে তরিকুল মাদক বাণিজ্য ব্যবসা ভালোভাবে জমে উঠেছে। এলাকার জনগণের কথা হলো এখনো যদি তরিকুলকে থামানো না হলে। আমাদের এলাকার তরুণ যুব সমাজ নষ্ট হয়ে যাবে। তরিকুলের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় উঠলেও টাকার গরমে বেরিয়ে যায় তার অপরাধের সাম্রাজ্য। টাকার গরমে অবৈধ ট্রলার কিনে লাইসেন্সবিহীন নদীপথে। এবং উপরে চালিয়ে যাচ্ছেন মাদক বাণিজ্য এ বিষয় নিয়ে তরিকুলের সাথে করে সাথে কথা বলতে ফোন দিলে তরিকুল ফোনটা রিসিভ করেননি। এ বিষয়ে পিরোজপুর পুলিশ সুপারের সাথে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার কোন জেলায় উপজেলায় মাদক ব্যবসায়ী থাকতে পারবে না। আমি যোগদানের পরপরই সেই ঘোষণা দিয়েছি এবং মাদক মুক্তি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।এবিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। যেহেতু মাদকের কথা উঠল আমরা অনুসন্ধান করে দেখছি অবশ্যই মাদক ব্যবসায়ীকে আইনের আওতায় আনা হবে। এবং এ বিষয়ে মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে কথা বললে তিনি বলেন বিভিন্ন সময় মামলা মোকাদ্দমা দেখা যায় কিন্তু এটাতো আদালতের ব্যাপার আমাদের থানায় কোন অভিযোগ পাইনি এবং মাদকের বিষয়টি খুঁজে দেখব যদি সে মাদক বিক্রি করে থাকে তাতে আইনের আওতায় আনা হবে।
বিস্তারিত আসছে আগামী পর্বে………….!


Side banner
Link copied!