• ঢাকা
  • শনিবার, ০৮ নভেম্বর, ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২

শরীয়তপুরে সুদ চক্রের চাপ প্রয়োগে জামিনদারের স্ত্রী দিলু বেগমের আত্মহত্যা


FavIcon
নুরুজ্জামান শেখ, শরীয়তপুরঃ
প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০২৫, ০৬:০৭ পিএম
শরীয়তপুরে সুদ চক্রের চাপ প্রয়োগে জামিনদারের স্ত্রী দিলু বেগমের আত্মহত্যা

শরীয়তপুরে  সুদের জামিনদার মজিদ হালদারের স্ত্রী দিলু বেগম(৫৮) নামে এক মধ্যবয়সি   নারী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।এ আত্মহত্যাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় চাঞ্চল্যকর  সৃষ্টি হয়েছে।  গত ৭ নভেম্বর  ২০২৫ শুক্রবার সকাল ১০ দিকে নিজ বসত ঘরে বারান্দার আড়ার  সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।স্থানীয় সূত্রে  জানা যায় শরীয়তপুর সদর উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের চর  গাজীপুর গ্রামের সুদের জামিনদার  মজিদ মহালদারের স্ত্রী দিলু বেগম সুদচক্রের প্রধান হোতা  লিটন মহালদারের মানসিক নির্যাতন ও চাপ প্রয়োগে ওই নারী আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়।আত্মহত্যা কারী দিলু বেগমের স্বামী  মজিদ মহালদার গণমাধ্যমকে জানান,আমাগো অত্র এলাকার সুদের কারবারি লিটন মহালদারের নিকট থেকে প্রায় পাঁচ বছর পূর্বে আমাগো প্রতিবেশী আবু মাদবর  সুদে তিন লক্ষ টাকা ধার নেন।আমার জানামতে এই পাঁচ বছরের সুদের টাকা কমবেশি দিয়ে আসছে।এরপরও সুদের টাকা সহ ৩ লাখে ১০ লক্ষ টাকা হয়েছে। গত তিন মাস পূর্বে সুদ   চক্রের প্রধান হোতা লিটনসহ আরো পাঁচ থেকে সাত জন  টাকার জন্য আবু মাদবর কে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়।আবু মাদবরের মা হাতে পায়ে ধরলে সুদ কারবারি লিটনের বাড়িতে যাই।লিটনের বাড়িতে গিয়ে দেখি আবু মাদবরকে  কে বেঁধে রেখেছে।আর বলে টাকা দিবি কবে।আবু মারবর দুই মাস সময় নেয়।তখন আমি বললাম  দুই মাসে পারবে না তিন মাস সময় দাও।ব্যাচ  এতোটুকুই।তিন মাস অতিবাহিত হওয়ার পূর্বেই আবু  মাতবর বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।আবু মাদরকে না পেয়ে সুদের টাকার জন্য সুদের কারবারি লিটন মহালদার সহ আর পাঁচ থেকে সাত জন আমার বাড়িতে এসে আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং অপমানজনক  কথা বলে।এছাড়াও আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়  সুদের চক্রটি।আমি টাকা না দিলে আমাকে ধরে নিয়ে যাবে।আমার স্ত্রী দিলু  বেগম প্রতিবাদ করায়  জঘন্যতম ভাষা গালিগালাজ করে এবং অপমান করে।সুদ চক্রের অপমানের কথা সইতে না পেরে আমার স্ত্রী আত্মহত্যা করে।সুদের কারবারি লিটন সুদ  চক্রের  খপ্পরে পড়ে অত্র এলাকার অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে।এই সুদ  চক্রের দৃষ্টান্তমূল শাস্তি চাই।
পালং থানার অফিসার ইনচার্জ হেলাল উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন।,আত্মহত্যাকে কেন্দ্র করে চন্দ্রপুর সন্তোষপুর ফাঁড়িতে  অপমৃত্যু  মামলা হয়েছে।আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।আত্মহত্যার  পরিবার থেকে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 


Side banner
Link copied!