• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১ আশ্বিন ১৪৩২

পালং ইউপি সদস্য বোরহান মুন্সী ষড়যন্ত্রের শিকার


FavIcon
নুরুজ্জামান শেখ, বিশেষ প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: মে ১, ২০২০, ০৭:১৯ পিএম
পালং ইউপি সদস্য বোরহান মুন্সী ষড়যন্ত্রের শিকার

শরীয়তপুর সদর উপজেলার পালং ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের বার বার নির্বাচিত সদস্য মোঃ বোরহান মুন্সী ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে।মেম্বার মোঃ বোরহান মুন্সী পালং ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের গঙ্গাধরপট্রী গ্রামের একটি সাধারন পরিবারে জন্মগ্রহণ করে। শৈশব থেকেই বোরহান মুন্সী অত্যান্ত সৎ ও কঠোর পরিশ্রমি।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বোরহান মুন্সী ৬ নং ওয়ার্ডের জনগনের প্রান প্রিয় ব্যক্তি এবং ঐ অঞ্চলের মানুষের বিপদ আপদে সবসময় পাশে এসে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতো। স্থানীয় মুরুব্বীগনের সাথে আলাপকালে জানা যায়, পালং- জাজিরা মাটি ও মানুষের প্রান প্রিয় নেতা এবং জাতীয় সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু এর আস্হাভাজন হওয়ায় বোরহান মুন্সী প্রতিপক্ষের দ্বারা বার বার ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে। বর্তমান বিশ্বে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে পালং ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের অসহায় ও নিম্নবিত্ত, মধ্যেবিত্তো পরিবারের লোকজন ঘরবন্দী জীবন যাপন করছে। গত ২ এপ্রিল  এমপি ইকবাল হোসেন অপু এর নির্দেশক্রমে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ইউপি সদস্য মোঃ বোরহান মুন্সী তার নিজস্ব তহবিল থেকে ১৭০ পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরন করেন।অসহায় পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরন করায় বোরহান মুন্সী কিছু অসাধু লোকের কাছে শত্রুতে পরিনত হয়েছে।সমাজ সেবামূলক কার্যক্রমের কারনে ইউপি সদস্য মোঃ বোরহান মুন্সী এর ছোট ভাই জাহাঙ্গীর মুন্সি হতদরিদ্র খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির দশ টাকা কেজি চাউলের ডিলারের নিয়োগ পান। বিগত দিনে পালং ইউনিয়নের ৫,৬,৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের ২৫৫ টি কার্ডদারী ভোক্তাদের মাঝে কানার বাজার বিক্রয় কেন্দ্র থেকে সঠিক ভাবে চাল দেওয়া হয়। তারই ধারাবাহিকতা গত ১৫ এপ্রিল ২০২০ সকাল ১০ টার দিকে কানার বাজার বিক্রয় কেন্দ্রে টেক অফিসার পালং ইউনিয়নের কৃষি কর্মকর্তা লতিফা বেগমের উপস্থিতিতে ডিলার জাহাঙ্গীর মুন্সি ও তার বড় ভাই ইউপি সদস্য মোঃ বোরহান মুন্সী হতদরিদ্র ১০ টাকা কেজি মূল্যের চাউল ২৫৫ টি কার্ডদারী ভোক্তাদের মধ্যে ২৩২ কার্ডদারী ভোক্তা কে সঠিক ভাবে চাল বিতরণ করেন। তবে কিছু চাউলের বস্তা ছেরা ফাটা থাকায় কিছু ভোক্তা ঐ ছেড়া চালের বস্তা নিতে অস্বীকৃতি জানালে বোরাহান মুন্সি বস্তা খুলে সঠিক ওজনে ৩০ কেজি করে চাল ভোক্তাদের কে দেওয়া হয়। তবে স্হানীয় কিছু অসাধু কুচক্রী মহল ডিলার জাহাঙ্গীর মুন্সি ও বোরহান মুন্সী চাউল বিতরণে অনিয়ম করছে এমন ঘটনা উর্ধোতন কর্মকর্তাকে জানালে তাৎক্ষণিক ভাবে কানার বাজার বিক্রয় কেন্দ্রের ঘটনাস্হলে সদর উপজেলার খাদ্যনিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা নুরুল হক সাহেব চলে আসে এবং বিষয়টি কে খতিয়ে দেখেন। নুরুল হক সাহেব জানান চাউল বিক্রি এবং বিক্রয় কেন্দ্রর অবশিস্ট চাউলের স্টক মিলিয়ে দেখি সব ঠিক আছে।যে অনিয়ম আমি পেয়েছি তা হলো কিছু বস্তা ছেড়া ফাটা থাকায় বস্তা খুলে ভোক্তাদের কে সঠিক ভাবে চাউল বিতরণ করে। ঘটনাস্হলে ভোক্তাদের কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে চাউল আত্বসাতের বিষয়টি একে বারেই ভিত্তিহীন। ২৫৫ বস্তার মধ্যে ২৩২ বস্তা চাউল বিক্রি হয়েছে এবং  বাকি ২৩ বস্তা বিক্রয় কেন্দ্র আছে।নূরুল হক সাহেব সতর্ক করে ডিলার জাহাঙ্গীর মুন্সি কে বলেন এ ভাবে বস্তা খোলা অনিয়ম এবং ছেড়া ফটা থাকলেও খোলা যাবেনা। তার প্রতিত্তোরে ডিলার জাহাঙ্গীর মুন্সি বলেন আমার ভুল হয়েছে এবং ভবিষ্যতে এমন ভুল আর হবে না। পরের দিন ১৬ এপ্রিল টেক অফিসার লতিফা বেগম ও পালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল দেওয়ান এর উপস্থিতিতে কানার বাজার  বিক্রয় কেন্দ্র থেকে কার্ডধারী ভোক্তাদের কে বাকি ২৩ বস্তা চাউল বিতরণ করে। গত ১৬ এপ্রিল ডিলার জাহাঙ্গীর মুন্সি ও তার বড় ভাই ইউপি সদস্য মোঃ বোরহান মুন্সী এদের মান সম্মান খুন্ন করার জন্য নিউজ ১৬ বিডি. নেট একটি অনলাইন মিডিয়ায় এদের নামে হতদরিদ্র দশ টাকা কেজি মূল্যের চাউল আত্বসাতের শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয় এবং এই সংবাদটি জাতীয় টিভি চ্যানেল আর টিভিতে প্রচারিত হয়। পালং ইউপি সদস্য মোঃ বোরহান মুন্সী সাক্ষাৎকারে গণমাধ্যমকে জানান আমি বোরহান মুন্সী ও আমার ছোট ভাই জাহাঙ্গীর মুন্সি ষড়যন্ত্রের শিকার। আমাদের বিরুদ্ধে চাউল আত্মসাতের শিরোনামে একটি অনলাইন মিডিয়া সংবাদ প্রকাশিত হয় যা অত্যান্ত দুঃখজনক। আমরা  এ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত নই। আমি প্রকাশিত সংবাদের প্রতি তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।  


Side banner

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর

Link copied!