নারায়নগঞ্জ জেলার কাঁচপুর ব্রীজের দক্ষিণ পূর্ব পারে হাইওয়ে পুলিশের সামনেই একশ্রেণির লোক ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ থেকে বিভিন্ন বড় ও ছোট যানবাহন শ্রমিকদের কাছ থেকে একটি লাল টিকিট ধরিয়ে ৫০/- টাকা করে আদায় করে নিচ্ছে চাঁদার । চাঁদাবাজীর এই টিকিট এর নমুনা সহ জনস্বার্থে তুলে ধরা হলো। এই চাঁদাবাজ চক্র দীর্ঘদিন যাবৎ অসত উপায়ে লাল টিকিট দিয়ে প্রতিনিয়তই হাতিয়ে নিচ্ছে লখা লাখ টাকা । সাম্প্রতিক সময়ে বাস মালিক পক্ষ কাঁচপুর থানায় অভিযোগ জানালে কাঁচপুর থানার হাইওয়ে পুলিশ তাদের হাতে হাতে ধরলেও কিছুক্ষণ পর চাঁদাবাজ আসামীদের ছেড়ে দেয়। সাম্প্রতিক সময় থেকে গত ০৩/০৭/২০২৪ ইং তারিখে গাড়ি চালকদের কাছ থেকে ৫০/- টাকার চাঁদার রশিদের কপি হাতে ধরিয়ে উক্ত চাঁদা আদায় করে নিতে দেখা যায়। উপরে উল্লেখিত তারিখে টিআই নাইমকে মুঠো ফোনে জানালে, প্রথমে তিনি অস্বীকার করলে যখন টিআইকে চাঁদার প্রমাণ হাতে রয়েছে অর্থাৎ টিআই নাইম এর সাথে প্রতিনিধির যতটুকু কথা হয়েছে উক্ত কথাটুকু রেকর্ডিং রাখা হয়। কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি মোঃ রেজাউল হক তিনিও এই চাঁদাবাজীর বিষয়ে অবগত থাকলেও ওসি রেজাউল হক নিরব ভূমিকা পালন করেন। কোন লোক ওসি রেজাউল হক এর সাথে দেখা করতে গেলে তিনি কাউকে তার সাথে কথা বলার সুযোগ না দিয়ে মোবাইল ফোন নিয়েই ব্যস্ত থাকেন। একজন সাংবাদিক ওসি রেজাউল হক এর বিষয়ে বলেন যে, আমি আমার পরিচয় দিয়ে ওনার সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি খুবই ব্যস্ত বলে জানিয়ে দেন। সড়ক ও পরিবহনের যানবাহন চলাচলে হাইওয়ে
থানার ওসি সহ টিআই ও সার্জনদের ভাগে ভাগে মাসিক উৎকোচ দিতে হয় বলে এমনটাই জানালেন বাস মালিক ও শ্রমিকগণ। ট্রাফিকরা সাধারণ রিক্সাচালক, ভ্যান চালকদের কাছ থেকেও টাকা আদায় করতে দেখা যায়। শনির আখড়া টু সাইনবোর্ড। শনির আখড়া থেকে সাইনবোর্ড এলাকার খুবই গুরুত্বপূর্ণ জায়গার নাম মাতুয়াইল মেডিক্যাল থেকে ৫০ গজ পূর্ব দিকে মাতুয়াইল ইউটার্ন এখানে ট্রাফিক সার্জনদের টাকা রোজগারের পয়েন্ট, এখানে ট্রাফিক ও সার্জন সামান্য রিক্সাচালকদের রিক্সা আটকিয়ে প্রতি রিক্সা চালকদের কাছ থেকে সরকারি রেকার বিল এর নাম করে ৬শ টাকা নিয়ে রিক্সা ছেড়ে দেয়, কিন্তু সরকারি কোন রশিদ দেয়া হয় না। গত কয়েক দিন পূর্বে বয়স্ক এক ভ্যান চালকে যাওয়ার পথে এক সার্জন তাকে আটকিয়ে ৬শ টাকা রেখে দেয়। ঐ ভ্যানচালক সার্জনের পায়ে পর্যন্ত ধরেছে এতেও কোন কাজ হয়নি, ঐ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন কোন এক পত্রিকার সম্পাদক। কিন্তু সার্জন জানতো না তিনি কে।
এই বিষয়টি বর্তমান টিআই মোঃ বদরুল কে জানালে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।
আপনার মতামত লিখুন :