
বাস থেকে নেমেই ছাউনি খোঁজে ফিজার। ঘন অন্ধকারে কোথাও ঠাহর করা যায়না। কোনো আলো নেই। আলোর জন্য হঠাৎ করে আসতে থাকা নাইট কোচের আলোই ভরসা। এসি বাস থেকে নেমে বৃষ্টির পানি মাথায় চাপায় অস্বস্তি লাগছে। ভাগ্যিস হাতে ব্যাগ নেই। । গভীর রাতে বাস থেকে অচেনা অজানা একটা জায়গায় নেমে পড়ার ঝক্কি তো আছেই। রাস্তা বুঝে নিয়ে বৃষ্টির সাথে তাল মিলিয়ে হাঁটছে সে। কাটাখালী কেন নামলো? যাবে তো জুবেরি।
এই যে স্থানিক নাম, ওর খুব ভালো লাগে। যদিও নাম বদল হয় খুব এ দেশে। জায়গা, স্থাপনা, সম্পর্ক, মানুষ কিছুই বাদ যায় না, আবার হয়তো এক সময় নামই থাকে না। তখন কোনো এক হতভাগা এসে নামকরণ করে, আমজনতা তাতেই অভ্যস্ত হয়। জিরো পয়েন্ট কোনো নাম হতে পারে? অবশ্য শুরুটা মাঝখান থেকে হয় বলেই না বিজ্ঞানভিত্তিক নাম জিরো পয়েন্ট। তবু কেন জানি এই নামকরণে দূরদর্শিতার অভাব আছে, এটা বরং মিডল পয়েন্ট নাম দেয়া যেতো। না, সেটাও বা হবে কেন? বাংলায় কি আর নাম হয় না? আমরা কি নামহীনতায় ভুগছি? ভুগছিই তো।
ওর নিজের নাম ফিজার, বাবা রেখেছেন। কিন্তু সবাই জানে এটা ওর আসল নাম নয়। আসলের বিপরীত তো নকল। তাহলে লোকে কি ওকে নকল নামে চেনে? সার্টিফিকেটে ফিজারের নাম স্নিগ্ধ আকতার। স্কুলে নামের জন্য ওকে সবাই বুলি করতো। তাই কেউ নাম জিজ্ঞেস করলে ও আসল নামটা বলে না, ডাক নামটাই বলে দেয়।
আপনার মতামত লিখুন :