ডিএসসিসির সহ সচিব প্রশাসন-১ রফিকুল ইসলামের দুর্নীতি!

নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: জুন ১৫, ২০২৫, ০২:৪৮ পিএম

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)-এ একজন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী রফিকুল ইসলামের অস্বাভাবিক ক্ষমতার প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সংস্থার একাধিক কর্মকর্তা ও ঠিকাদার। অভিযোগ উঠেছে, সহ সচিব প্রশাসন-১ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন রফিকুল ইসলাম, যার মূল পদ বাজার সুপারভাইজার (১৪তম গ্রেড) হলেও তিনি এখন ৯ম গ্রেডের কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন।

এর ফলে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তারা একপ্রকার অবহেলিত হয়ে পড়েছেন। আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)সাবেক মেয়র তাপসের ঘনিষ্ঠ সহচর এই রফিকুল ইসলাম। তৃতীয় শ্রেণীর এই কর্মচারীর ক্ষমতার দাপটের কাছে অসহায় প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তাসহ অন্যান্য  ঠিকাদাররা। 
জানাগেছে, প্রশাসন ১ ও ২ উভয় শাখার সহ সচিব এর দায়িত্ব পালন করছেন তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী সাবেক মেয়র তাপসের আত্মীয় রফিকুল ইসলাম। 
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রফিকুল ইসলাম এর উত্থান এর পিছনে রয়েছেন ডিএসসিসির আরেক আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর সচিব বাসিরুল হক ভূঁইয়া। বাসিরুল হক ভূঁইয়া ভান্ডার বিভাগের দায়িত্বে থাকাকালে খিলগাঁও জোনের বাজার সুপারভাইজার রফিকুল ইসলাম কে তার পি এ হিসেবে নিয়ে আসেন। ভান্ডার বিভাগের সকল ক্রয় দরপত্র রফিক নিয়ন্ত্রণ করতেন। অনিয়ম দুর্নীতির বিশেষজ্ঞ হিসেবে খ্যাতি থাকার কারণে বাসিরুল হক ভূঁইয়া রফিকুল ইসলাম কে পিএ বানিয়ে নিয়ে আসেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ঠিকাদার বলেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে রফিক মেয়র তাপসের আত্মীয় পরিচয় দিতেন। এই দুর্নীতি বাজ রফিকুল সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পুরো দরপত্র তিনি নিয়ন্ত্রণ করতেন। এমনকি তিনি নিজে বেনামে ঠিকাদারি কাজ করে অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে  বিপুল পরিমান টাকা ও অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছে এই রফিকুল।
সূত্র জানায়, সচিব এর দায়িত্ব পেয়ে রফিক এখন কেবল দরপত্র নিয়ন্ত্রণ নয়, ডিএসসিসির নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি সব নিয়ন্ত্রণ করছেন। হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা।
এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ডিএসসিসির সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তারা রফিকুল ইসলামের দুর্নীতি তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
 

• বিষয়:
• ডিএসসিসির সহ সচিব প্রশাসন-১ রফিকুল ইসলামের দুর্নীতি!