• ঢাকা
  • বুধবার, ০৪ অক্টোবর, ২০২৩, ১৯ আশ্বিন ১৪৩০

মমতাজের বিরুদ্ধে ফের গ্রেফতারি পরোয়ানা


FavIcon
অনলাইন ডেস্ক:
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৩, ০১:৪৫ পিএম
মমতাজের বিরুদ্ধে ফের গ্রেফতারি পরোয়ানা
ছবি - সংগৃহীত

টাকা নিয়েও অনুষ্ঠান না করা, বিশ্বাস ভঙ্গ আর প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ফের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নারী সংসদ সদস্য তথা দুই বাংলার জনপ্রিয় গায়িকা মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য।
এই মামলায় মমতাজের বিরুদ্ধে এর আগে তিনবার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। এরপর মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টে আবেদন করেন মমতাজ। কিন্তু উচ্চ আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। বহরমপুর আদালতের নির্দেশ মোতাবেক, আগামী ৮ সেপ্টেম্বর মমতাজকে সশরীরে হাজিরা দিতে হবে। এক্ষেত্রে মমতাজের আইনজীবী দেবাংশু সেনগুপ্ত জানান, তার মক্কেল আদালতের সঙ্গে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবেন।আদালত সূত্রে জানা গেছে, ৯ অগস্ট মুর্শিদাবাদের মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে হাজির হওয়ার কথা ছিল মমতাজের। ৮ অগস্ট বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মমতাজের মামলার চার্জ গঠন করা হবে। সেদিন মমতাজ উপস্থিত না হলে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হবে। এরপরই মমতাজ বাংলাদেশ হাই কমিশনের মাধ্যমে একটি আবেদনপত্র আদালতে দাখিল করে জানান, ওই সময়ে তিনি কানাডায় একটি অনুষ্ঠানে থাকবেন। ফলে তার পক্ষে আদালতে হাজিরা দেওয়া সম্ভব হবে না। মুর্শিদাবাদের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট ওই আবেদন খারিজ করে দিয়ে মমতাজের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলেন।
জানা গেছে, মুর্শিদাবাদে ২০০৪ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান পরিবেশনের জন্য আয়োজক সংস্থার প্রধান শক্তিশঙ্কর বাগচীর সঙ্গে মমতাজের লিখিত চুক্তি হয়। চুক্তি মোতাবেক শক্তিশঙ্করের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মমতাজ নিয়মিত অংশ নিতেন। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ১৪ লাখ টাকায় মুর্শিদাবাদের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল শিল্পীর। তিনি অগ্রিম টাকাও গ্রহণ করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চুক্তি অমান্য করে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি মমতাজ। এরপরই শক্তিশঙ্কর চুক্তিভঙ্গ ও প্রতারণার অভিযোগ তুলে মুর্শিদাবাদের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মমতাজের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এদিকে এ বিষয়ে এর আগে সামাজিক মাধ্যমে মমতাজ এক দীর্ঘ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছিলেন। সেখানে জানিয়েছিলেন, মামলাটি মিথ্যা ও বানোয়াট। দাবি করেছিলেন, ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিতেই মামলাটি করা হয়েছে। 


Side banner
Link copied!