• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

৪ সাংবাদিকদের ওপর হামলা: বাংলাদেশ অনলাইন সেন্ট্রাল প্রেসক্লাবের তীব্র নিন্দা


FavIcon
নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: মার্চ ১৭, ২০২৪, ০৩:০৮ পিএম
৪ সাংবাদিকদের ওপর হামলা: বাংলাদেশ অনলাইন সেন্ট্রাল প্রেসক্লাবের তীব্র নিন্দা

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার ফিচকারঘাট এলাকায় আদিবাসীদের জমি প্রভাবশালীর দখলে" সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে ছাত্রলীগের হামলার স্বীকার সাংবাদিকরা হলেন, মাছরাঙা টিভির জেলা সংবাদদাতা ও বিজনেস বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি আল মামুন, দৈনিক বাংলাদেশ সমাচারের জেলা প্রতিনিধি জুয়েল শেখ, বাংলার দুতের জেলা প্রতিনিধি আব্দুর রাজ্জাক ও সংবাদ সারাবেলার পাচঁবিবি প্রতিনিধি বাবুল হোসেন। ওপর সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ অনলাইন সেন্ট্রাল প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক সংগঠন।
বাংলাদেশ অনলাইন সেন্ট্রাল প্রেসক্লাবের চেয়ারম্যান ছাদিয়া খানোম নিশাত, মহাসচিব মো: রেদওয়ান সিকদার রনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: গোলাম আজম সহ সংগঠনের সকল সাংবাদিক নেতারা এক বিবৃতিতে এ ঘটনাকে অত্যন্ত ন্যক্কারজনক উল্লেখ করে এর সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
বিবৃতিতে আরও সাংবাদিক নেতারা বলেন, পেশাগত দায়িত্বপালনকালে সাংবাদিকদের ওপর এ ধরনের হামলা সাংবাদিক সমাজকেই আতঙ্কিত করে। সাংবাদিকরা দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করে থাকেন। কিন্তু বিভিন্ন সময় তাদেরকে নানাভাবে হয়রানি-নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে হয়। যেটা পেশাদার সাংবাদিকদের জন্য হুমকিস্বরূপ। এর অবসান হওয়া জরুরি এবং এক্ষেত্রে রাষ্ট্র ও সরকারকে দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসা উচিত।
বাংলাদেশ অনলাইন সেন্ট্রাল প্রেসক্লাবের নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলায় ৪ জন সাংবাদিক আহত হওয়া এবং গাড়ি ভাঙচুরের বিষয়টি মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। শুধু তাই নয়, দীর্ঘসময় ধরে চলা সন্ত্রাসী হামলার সময় স্থানীয় পুলিশের ভূমিকাও সন্দেহজনক।
পুলিশ এ ধরনের ঘটনার সময় সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বদলে নিশ্চুপ ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ সাংবাদিক সমাজসহ জনগণের কাম্য নয়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সংবাদমাধ্যমকে একটি দেশের চতুর্থ স্তম্ভ বলা হয়। আর সেই সংবাদমাধ্যমকে দেশ ও জনগণের স্বার্থে সচল রাখে মাঠ পর্যায়ের সংবাদকর্মীরা। সাংবাদিকতার নিয়মনীতি অনুসরণকারী সংবাদকর্মীরা নির্দিষ্ট কোনো পক্ষ কর্তৃক প্রভাবিত না হয়ে প্রকৃত ঘটনা বা সত্যকে প্রকাশ করতেই সর্বদা নিরলসভাবে তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে, যারা মিথ্যা ও অন্যায়ের বশবর্তী হয়ে, সত্যকে গোপন করে স্বীয় অপরাধমূলক কর্মকার বলবৎ রাখতে চায় একমাত্র তারাই সাংবাদিকদের ওপর পেশি শক্তির ব্যবহার করে স্বাধীন সাংবাদিকতাকে দমিয়ে রাখার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়, যা আন্তর্জাতিক ও দেশীয় আইনের সম্পূর্ণ পরিপন্থি এবং সাংবাদিকতা পেশার জন্য হুমকির।
বিভিন্ন সময় সংবাদকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্ৰ করে প্রায়শই সাংবাদিকদের ওপর অতর্কিত হামলা, মোবাইল বা সংবাদ সংগ্রহের ডিভাইস ছিনিয়ে নেওয়া, হুমকি প্রদান এবং লাঞ্ছিত করাসহ নানাভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে। যার অধিকাংশ ঘটনাতেই দোষীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না, যা অভ্যন্ত দুঃখজনক।
এ সময় নেতৃবৃন্দ ১৭ মার্চ শনিবার ৪ জন সংবাদকর্মীদের ওপর যে বা যারাই এই ন্যাকারজনক হামলা করেছে তাদের প্রত্যেককেই চিহ্নিত করে অতি দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের জোর দাবি জানান। এবং সাংবদিক নেতারা অবিলম্বে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।
 


Side banner
Link copied!