• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নিষিদ্ধ ঘোষিত হরকাতুল জিহাদের দুই নেতা গ্রেফতার


FavIcon
অনলাইন ডেস্ক:
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৩, ০৭:১৩ পিএম
নিষিদ্ধ ঘোষিত হরকাতুল জিহাদের দুই নেতা গ্রেফতার
ছবি: সংগৃহীত

নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশের (হুজি-বি) খুলনা বিভাগের দুই নেতাকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৩ এর একটি দল রোববার রাতে রাজধানীর মালিবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- যশোর জেলার বাঘারপাড়া থানার মির্জাপুর গ্রামের মৃত আমির আলী মোল্লার পুত্র আব্দুল কুদ্দুস (৫৭) ও একই জেলার কোতয়ালী থানার বারান্দীপাড়া গ্রামের মো. সেকেন্দার মোল্লার পুত্র মো. সিরাজুল ইসলাম ওরফে সালাউদ্দিন (৩৫)।
আজ দুপুরে র‌্যাব-৩ এর কমান্ডিং অফিসার (অধিনায়ক) লে. কর্ণেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ তাদের আটকের বিষয়টি  নিশ্চিত করেছেন।
র‌্যাব জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃত আব্দুল কুদ্দুস হরকাতুল জিহাদের যশোর জেলার আঞ্চলিক ও কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক। পাশাপাশি তিনি যশোর জেলার শেকহাটি এলাকায় ‘‘ওবায় বিন কাব’’ মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক। ২০০৭ সালে ঝিনাইদহ জেলার সদর থানায় হরকাতুল জিহাদ সংশ্লিষ্ট একটি মামলায় তার যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়।
এ ছাড়া তিনি ২০০৭ সাল থেকে ১০ বছর ২ মাস সাজা ভোগ করে ২০১৮ সালে জেল হাজত থেকে মুক্তি পান। পরে তিনি পুনরায় হরকাতুল জিহাদের যশোর, মাগুরা এবং নড়াইল জেলার বিভিন্ন মসজিদ ও মাদ্রাসায় নিয়মিত হালাখা (গোপন বৈঠক) করতে থাকে। পরবর্তীতে ঢাকা থেকে উচ্চ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ  ওই বৈঠকে অংশগ্রহণ করত। 
তিনি কুদ্দুস মাদ্রাসার যুবদের মনে সমাজ বিদ্বেষী মনোভাব ছড়িয়ে দিত এবং প্রগতিশীল সমাজের বিরুদ্ধে জঙ্গি তৎপরতা চালানোর মাধ্যমে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করার কথা বলে তাদের হুজি-বি’তে অংশগ্রহণ করাত। 

এদিকে গ্রেফতারকৃত সিরাজুল ইসলাম ২০০১ সালে যশোর কোল্ডস্টোরেজের নাইটগার্ড হিসেবে চাকুরী করতেন। তিনি ওই কোল্ডস্টোরেজের নাইট গার্ডের তৎকালীন প্রধানের মাধ্যমে হরকাতুল জিহাদে যোগদান করেন। তিনি হুজি’র যশোর জেলার রিক্রুটার এবং অর্থনৈতিক শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। এছাড়া তিনি বিদেশী বিভিন্ন জঙ্গী সংগঠনের সাথে যোগসাজসে হুজি-বি’র অর্থ যোগানের ব্যবস্থাও করতেন বলে স্বীকার করেছেন।
তিনি আরও জানান, ২০১০ সালে তার নামে একটি বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়। ওই মামলায় যশোর কোতয়ালী থানায়  ২০১১ সালে তিনি আটক হন এবং ২০১২ জামিনে মুক্ত হয়ে আত্মগোপনে যান। আত্মগোপনে থেকে তিনি সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন।
লে. কর্ণেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, হুজি ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন নাশকতামূলক হামলা চালায়। তারা ১৯৯৯ সালে ১৮ জানুয়ারি কবি শামসুর রহমানকে হত্যার চেষ্টা করেছিল। তারা ১৯৯৯ সালে ৬ মার্চ যশোরের উদিচি অনুষ্ঠানে এবং ১৯৯৯ সালে ৮ অক্টোবর খুলনায় আহমাদিয়া মসজিদে বোমা হামলা চালায়। ২০০০ সালের ২০ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল। ২০০১ সালের ২০ জানুয়ারি ঢাকায় কমিউনিস্ট পার্টি সমাবেশে বোমা হামলা করে। ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা পার্কে নববর্ষের উদযাপনে বোমা হামলা চালায়। 
তিনি আরও জানান, তারা ২০০১ সালে ৩ জুন গোপালগঞ্জের একটি গির্জায়, ২০০১ সালের ১৬ জুন নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ অফিসে এবং ২০০১ সালের ২৩ শে সেপ্টেম্বর বাগেরহাটে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একটি সমাবেশে বোমা হামলা করে। তারা ২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটে শাহ জালাল মাজারে ব্রিটিশ হাইকমিশনার লক্ষ্য করে সিরিজি বোমাবর্ষণ করে। তারা ২০০৪ সালের ২১ জুন সুনামগঞ্জে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের উপর , ২০০৪ সালের ৭ আগস্ট সিলেটের আওয়ামী লীগের একটি সমাবেশে হামলা চালায়। 
জঙ্গিরা ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের একটি সমাবেশে গ্রেনেড হামলা করে। এছাড়াও তারা ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি শাহ এএমএস কিবরিয়া নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের সমাবেশে বোমা হামলা চালায়।


Side banner
Link copied!