• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আশা-ভরসার লিটনও ফিরলেন


FavIcon
অনলাইন ডেস্ক:
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৫, ২০২২, ০৪:১০ পিএম
আশা-ভরসার লিটনও ফিরলেন
ছবি - সংগৃহীত

চট্টগ্রাম টেস্টে ভারতের প্রথম ইনিংসের জবাবে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর লিটন দাস ও জাকির হাসানের ব্যাটে আক্রমণ শুরু করে বাংলাদেশ। টাইগারদের সেই আক্রমণ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। আশা-ভরসার পাত্র লিটন দাসকে ফিরিয়ে তাতে বাগড়া দেন ভারতের মোহাম্মদ সিরাজ।

লিটন আউট হয়েছেন ব্যক্তিগত ২৪ রানে। ৩০ বলে তার ইনিংসে ছিল ৫টি ছারের মার। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৫ রান নিয়ে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। জাকির হাসান ১১ ও ৪ রানে ব্যাট করছেন মুশফিকুর রহিম।

ভারতের প্রথম ইনিংসের ৪০৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের প্রথম বলেই বিদায় নিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। মোহাম্মদ সিরাজের করা ওয়াইড লেংথের বলে উইকেটরক্ষক রিশভ পন্তকে ক্যাচ দেন তিনি। ওয়ানডাউনে নামা ইয়াসির আলি এসেও ক্রিজে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। উমেশ যাদবের বলে ইনসাইড-এজ হয়ে স্টাম্প হারিয়ে ফেলেন তিনি। ফেরার আগে ১৭ বলে ৪ রান করেন ইয়াসির।

এর আগে সব কটি উইকেট হারিয়ে ৪০৪ রান সংগ্রহ করেছে ভারত। চেতেশ্বর পূজারা ও শ্রেয়াস আইয়ার, দুজনেই আউট হন শতকের কাছাকাছি গিয়ে। বাংলাদেশের বোলিং লাইনআপের বিপক্ষে পূজাররা ৯০ ও আইয়ার ৮৬ রান করেন। হাফসেঞ্চুরি করেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। বিপরীতে তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ, দুজনেই পান ৪টি করে উইকেট।

৬ উইকেটে ২৭৮ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করা ভারত প্রথমদিকেই হারায় শ্রেয়াস আইয়ারের উইকেট। সেঞ্চুরির আগেই এবাদত হোসেনের বলে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তিনি। ১৯২ বলে ভারত ব্যাটার করেন ৮৬ রান। প্রথম দিন শেষে তিনি অপরাজিত ছিলেন ৮২ রানে। ২৯৩ রানের ৭ উইকেট তুলে নেয়ার পর রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও কুলদীপ যাদবের জুটি ভাঙতেই পারছিল না বাংলাদেশ। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর মেহেদী হাসান মিরাজের বলে অবশেষে সাফল্যের দেখা পায় টাইগাররা। অশ্বিনকে ৫৮ রানে ফেরান বাংলাদেশ অলরাউন্ডার। অশ্বিনের পর দ্রুতই ফিরে যান হাফসেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে থাকা কুলদীপ। ১১৪ বলে তিনি আউট হন ৪০ রানে। ভারতের শেষ উইকেটটিও নেন মিরাজ।

বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামা ভারত প্রথম উইকেট হারায় ৪১ রানের মাথায়। ১৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলে তাইজুলকে সুইপ শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন শুভমান গিল। সহজ ক্যাচ লুফে নিয়ে বাংলাদেশকে আনন্দের উপলক্ষ এনে দেন ইয়াসির আলী রাব্বি। ৪০ বলে ২০ রান করেন গিল। পেসার এবাদত হোসেন পতন ঘটান ভারতের দ্বিতীয় উইকেটের। তার অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে ইনসাইড এজড্‌ হয়ে বোল্ড হন ২২ রান করা ভারত অধিনায়ক লোকেশ রাহুল।

১৪তম ওভারে শুভমান গিলকে ফেরানো তাইজুল দ্বিতীয় উইকেট পান ২০তম ওভার করতে এসে। তাও যেই সেই উইকেট নয়, ভারতের ব্যাটিং মেরুদণ্ড বিরাট কোহলির উইকেট শিকার করলেন তার ঘূর্ণিতে বিভ্রান্ত করে। লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে মাত্র ১ রানে বিদায় নিয়েছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক। পূজারার সঙ্গে এরপর ৬৪ রানের জুটি গড়েন রিশভ পন্ত। মেহেদী মিরাজের বলে আউট হওয়ার আগে ওয়ানডে মেজাজে ৪৬ রান করেন ভারতের উইকেটরক্ষক ব্যাটার। ৪৫ বলে তার ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও ২টি চয়ের মার।

ভারত ৪ উইকেট ঘুরে দাঁড়ায় চেতেশ্বর পূজারা ও শ্রেয়াস আইয়ারের জুটিতে। দুজনে মিলে গড়েন ১৪৯ রানের জুটি। পূজারা-আইয়ারের ১৫০ রানের জুটিতে শুধু তাদের অবদানই না, ভুল আছে বাংলাদেশেরও। ব্যক্তিগত ৩০ রানের উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছিলেন আইয়ার। সেই ক্যাচ ধরতে ব্যর্থ হন উইকেটকিপার নুরুল হাসান সোহান। লাঞ্চ বিরতির আগে প্যাভিলিয়নে ফিরতে পারতেন পূজারাও। কিন্তু এবাদতের বলে ব্যক্তিগত ২২ রানে উইকেটের পেছনে ক্যাচ মিস হয়, এবারও ব্যর্থ সোহান। আইয়ার ব্যক্তিগত ৬৭ রানে আরেকবার ক্যাচ তুলে দেন মিডউইকেটের দিকে, এবার ক্যাচ ধরতে পারেননি এবাদত হোসেন।

১১২ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর পূজারা-আইয়ার মিলে গড়েন ১৪৯ রানের জুটি। এরপর পূজারাকে আউট করেন তাইজুল ইসলাম। ব্যক্তিগত ৯০ রানে সরাসরি বোল্ড হন ভারত ব্যাটার। ২০৩ বলে তার ইনিংসটিতে আছে ১১টি চারের মার। এরপর ক্রিজে আসেন অক্ষর প্যাটেল। আইয়ারকে কিছুক্ষণ সঙ্গ দিলেও দিনের শেষ বলে অক্ষরকে শিকারে পরিণত করেন মিরাজ। ২৬ বলে ১৪ রান করে ভারত অলরাউন্ডার। প্রথম দিন শেষে ৬ উইকেটে ২৭৮ রান তুলে ভারত।


Side banner
Link copied!