
নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চডুবির ঘটনায় নিখোঁজ আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এনিয়ে ১১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ-থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাফিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে একই দিন বিকেলে মুক্তারপুর শাহ সিমেন্ট ফ্যাক্টরির সামনে থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নৌ-থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাফিজুর বলেন, আজ মঙ্গলবার বিকেলে লঞ্চডুবিতে নিখোঁজ একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহটি মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার বাসিন্দা মুসলেহ উদ্দিন হাতেমের বলে তার পরিবারের সদস্যরা শনাক্ত করেছেন। তার পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
তিনি আরও বলেন, আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ডেমরার বাসিন্দা আবব্দুল্লাহ আল জাবেরের (৩০) মরদেহ মুক্তারপুর শাহ সিমেন্ট ফ্যাক্টরির সামনে থেকে এবং বন্দর হরিপুর প্লাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে তিন বছরের শিশু আরোহীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে লঞ্চডুবির ঘটনায় ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন মারা যান। এছাড়া জোবায়ের নামে একজন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
মৃত আরও ৮ জন হলেন, মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার উত্তর ইসলামপুর এলাকার জয়নাল ভূঁইয়া (৫০), সোনারগাঁও হরিয়ান প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা উম্মে খাইরুন ফাতিমা (৪০), রমজানবেগ এলাকার আরিফা (৩৫), তার দেড় বছরের ছেলে সাফায়েত হোসেন, গজারিয়া উপজেলার ইস্পাহানিচর সৃতি রাণী বর্মণ, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের আজিজের মেয়ে সালমা (৩৩), একই এলাকার ইউনুস খলিফার মেয়ে ফাতেমা (৭) ও একজন অজ্ঞাত।
আপনার মতামত লিখুন :