
কুষ্টিয়ায় স্ত্রী পরকীয়ার জেরে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে কুপিয়ে নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন এক যুবক। এ ঘটনায় মেঘলা খাতুন (২২) নামের ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন স্বামী মামুন ও তার দুই শিশু মেয়ে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের হরিশংকরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।পরিবার ও প্রতিবেশীরা জানান, মামুনের স্ত্রী মেঘলা পরকীয়ায় লিপ্ত ছিল। কিছুদিন আগে মেঘলা বাড়ি থেকে পালিয়ে পরকীয়া প্রেমিকের কাছে চলে গিয়েছিল। এ নিয়ে মাঝে মধ্যেই তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। এর জেরে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্ত্রীকে বেধড়ক মারপিট এবং এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে।পরে তার চার বছর বয়সী মেয়ে কুলসুম ও দেড় বছরের জান্নাতকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এতে তারা তিনজনই গুরুতর আহত হয়। এরপর মামুন ধারালো অস্ত্র দিয়ে নিজেই নিজের মাথায় ও গলায় কুপিয়ে আত্মহত্যা চেষ্টা করে। প্রতিবেশীরা তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করলে রাত ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেঘলার মৃত্যু হয়।বাকি তিনজনের অবস্থাও গুরুতর।
প্রতিবেশীরা জানান, তাদের চিৎকার শুনে ছুটে গিয়ে দেখতে পান মামুনের দুই কন্যা শিশু রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের ভেতরে পড়ে রয়েছে। মেঘলা ও মামুন রক্তাক্ত অবস্থায় ছটফট করছে। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে ধারালো চাকু দিয়ে মাথায় আঘাতের পর মামুন নিজের গলায় ও মাথায় কুপিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
এ বিষয়ে মামুনের মা সুফিয়া বেগম বলেন, পরকীয়ার কারণে মেঘলার সঙ্গে মামুনের পারিবারিক কলহ ছিল।এর আগে সংসার ছেড়ে মেঘলা আরেক জায়গায় চলে গিয়েছিল। দুই দিন আগে তাকে ফিরিয়ে এনেছে। আজকেও নাকি বউ মোবাইলে কার সঙ্গে কথা বলছিল। ছেলে তা হাতেনাতে ধরে ফেলে। এরপর বউ ও দুই মেয়েকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও মারপিট করে গুরুতর আহত করে এবং মামুন নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) হোসেন ইমাম বলেন, তিনজনকেই ধারালো কিছু দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়েছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১১টার দিকে মায়ের মৃত্যু হয়েছে। শিশু দুইটির অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :