
১২ লাখ টাকা খরচ করে সৌদি আরব যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন চাচা-ভাতিজা। বিদায়ের আগে পরিবার-পরিজনের চোখে ছিল স্বপ্ন আর আবেগ। কিন্তু বিমানবন্দরের পথে প্রতারক জানায়, ফ্লাইট মিস হয়েছে। পরে জানা যায়, তাদের ভিসা ও টিকিটই ভুয়া।এ ঘটনায় প্রতারক শফিকুল ইসলামকে (৪২) বৃহস্পতিবার গভীর রাতে গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার টেকনোপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১৪। শুক্রবার তাকে ফুলবাড়িয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।
র্যাব ও ভুক্তভোগীদের সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার শুশুতি গ্রামের আব্দুল গনি (৩০) ও পাশের পাহাড় অনন্তপুর গ্রামের নাজমুল হক (৩১) প্রায় তিন বছর আগে একই উপজেলার পাটিরা গ্রামের শফিকুল ইসলামের ফাঁদে পড়ে তুরস্কে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেন। উভয়েই ছয় লাখ করে মোট ১২ লাখ টাকা দেন।শফিকুল জানান, তারা তুরস্কে গেলে মাসে ৭০ হাজার টাকা করে বেতন পাবেন। এ আশায় গনি ও নাজমুল দিনমজুরি ও কাঠ মিস্ত্রির কাজ করে জমানো অর্থ, জমি বিক্রি ও ধারদেনা করে টাকা জোগাড় করেন।
তবে নির্ধারিত সময়ে বিদেশ যাওয়ার কোনো ব্যবস্থা হয়নি। পরে শফিকুল দাবি করেন, তাদের সৌদি আরব পাঠানো হবে।দীর্ঘদিন ধরে সময়ক্ষেপণ করেও কোনো ব্যবস্থা না হওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে নানা অজুহাতে কালক্ষেপণ করতে থাকেন। একপর্যায়ে তাদের একাধিকবার বিমানবন্দরে নেওয়ার কথা বলে পথে থেকেই বাড়ি পাঠিয়ে দেন শফিকুল। এরপর তিনি লাপাত্তা হয়ে যান।
শেষপর্যন্ত প্রতারিত গনি ও নাজমুল র্যাব-১৪ কার্যালয়ে গিয়ে অভিযোগ করলে প্রযুক্তি ব্যবহারে শফিকুলকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করে র্যাব।
শুক্রবার রাত সোয়া ৮টায় মোবাইল ফোনে কথা হলে গনি ও নাজমুল জানান, তারা এখন নিঃস্ব।তাদের একটাই দাবি—প্রতারক শফিকুলের কাছ থেকে যেন টাকা উদ্ধার করে ফেরত দেওয়া হয়।
ফুলবাড়িয়া থানার ওসি মো. রোকনুজ্জামান বলেন, শফিকুলের বিরুদ্ধে একাধিক প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। সব অভিযোগ যাচাই করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :