মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ভেতরে গড়ে ওঠা ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী সিন্ডিকেট এখনও রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও প্রশাসনিক কার্যক্রমকে জিম্মি করে রেখেছে। অনিয়ম-দুর্নীতি, নিয়োগ বাণিজ্য, কর্মস্থলে প্রভাব বিস্তার এবং নামে-বেনামে বিপুল সম্পদ গড়ে তোলার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে।
বিশেষ করে নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের আমলা ও সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান খানের এজেন্ট হিসেবে পরিচিত বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপ্রধান প্রকৌশলী (যান্ত্রিক ও তড়িৎ) মো. সোহেল রানা দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডার বাণিজ্য ও পদোন্নতি বাণিজ্যের নিয়ন্ত্রণ করছেন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ সবচেয়ে বেশি। ২০১২ সাল থেকে অদ্যাবধি প্রভাবশালী রাজনৈতিক আশ্রয়ে থেকে তিনি বন্দরের ভেতরে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে আসছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগকারীরা জানান, নিয়োগ ও বদলি বাণিজ্য থেকে শুরু করে টেন্ডার প্রক্রিয়া পর্যন্ত প্রতিটি জায়গায় তার সিন্ডিকেটের দাপট বিদ্যমান। এর ফলে একদিকে রাষ্ট্রীয় অর্থের ব্যাপক অপচয় হচ্ছে, অন্যদিকে বন্দরের স্বচ্ছতা ও সুশাসন মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এ নিয়ে সাধারণ কর্মচারী ও বন্দরের সৎ কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা দিন দিন বাড়ছে। সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, মোংলা বন্দরকে এই প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের কবল থেকে মুক্ত করতে হলে দ্রুত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কার্যকর তদন্ত এবং কঠোর আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।
আপনার মতামত লিখুন :