• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫, ১৩ কার্তিক ১৪৩২

চুয়াডাঙ্গার শিক্ষা প্রকৌশলী দেলোয়ারের বিরুদ্ধে কমিশন বাণিজ্য ও অবৈধ সম্পদের অভিযোগ


FavIcon
নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৮, ২০২৫, ১১:১২ এএম
চুয়াডাঙ্গার শিক্ষা প্রকৌশলী দেলোয়ারের বিরুদ্ধে কমিশন বাণিজ্য ও অবৈধ সম্পদের অভিযোগ

চুয়াডাঙ্গা জেলার শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে কমিশন বাণিজ্য, টেন্ডার কারসাজি ও বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে।

কুষ্টিয়া জেলার সন্তান দেলোয়ার হোসেন ডিপ্লোমা প্রকৌশলী হিসেবে চাকরি জীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে কুষ্টিয়া অফিসে সহকারী প্রকৌশলী থাকা অবস্থায় তৎকালীন প্রভাবশালী কর্মকর্তা আতা হানিফের সহায়তায় পদোন্নতি পান। ২০২৩ সালের ১৪ আগস্ট তিনি চুয়াডাঙ্গা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে যোগদান করেন।

অভিযোগ রয়েছে—যোগদানের পর থেকেই তিনি ঠিকাদারদের কাছ থেকে কমিশন আদায়ের মাধ্যমে কাজ পাইয়ে দিচ্ছেন। সরকারি নিয়ম-নীতি অমান্য করে নিজের সুবিধামতো দরপত্র মূল্যায়ন ও টেন্ডার ভাগাভাগির মাধ্যমে নির্বাচিত ঠিকাদারদের কাজ দিচ্ছেন।

একাধিক সূত্র জানিয়েছে, নির্বাহী প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন দুই বছর মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বিপুল সম্পদ গড়ে তুলতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। বর্তমানে তিনি “ঘনিষ্ঠ ঠিকাদার চক্র” পুনর্বাসনে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

সম্প্রতি একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগ তুলে তার বিরুদ্ধে আইনজীবীর মাধ্যমে নোটিশ পাঠিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, দরপত্রের সব শর্ত পূরণ করলেও কেবল কমিশন না দেওয়ায় তাদের কাজ বাতিল করা হয়েছে। এমনকি অন্য প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে তাদের হাতে কাজ তুলে দিয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী দেলোয়ার।

নোটিশে বলা হয়েছে, আইনবহির্ভূতভাবে টেন্ডার মূল্যায়ন ও অনিয়মের মাধ্যমে চুক্তি সম্পন্ন করা হয়েছে। এসব অনিয়ম বাতিল না হলে তারা আইনি পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবেন।

অভিযোগ অনুসন্ধানে জানা গেছে, দেলোয়ার হোসেন কুষ্টিয়া শহরের হরিশংকরপুর রেলগেট এলাকায় প্রায় এক বিঘা জমির ওপর চারতলা অট্টালিকা নির্মাণ করেছেন। শহরের আড়য়াপাড়ায় তার স্ত্রী ও নিজের নামে ছয় কাঠা জমি রয়েছে। পরিবার ব্যবহার করছে একটি নতুন মডেলের দামি প্রাইভেটকার।

এছাড়া নিজের এলাকায় গরুর খামার, ধান চাষ ও অন্যান্য ব্যবসায়িক সম্পৃক্ততার তথ্যও পাওয়া গেছে।

অভিযোগ প্রসঙ্গে নির্বাহী প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন বলেন, “দু’একটা টেন্ডারে নিজের ক্ষমতাবলে কিছুটা অনিয়ম হয়েছে, তবে সব সম্পদ বৈধ।” তিনি দাবি করেন, তার স্ত্রীর গরুর খামার ও ব্যবসার ট্যাক্স ফাইল রয়েছে।

তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, তার সম্পদের পরিমাণ ও আয় উৎসের মধ্যে বিশাল অসামঞ্জস্য রয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যদি বিষয়টি খতিয়ে দেখে, তাহলে “থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে” বলেও স্থানীয় ঠিকাদাররা মন্তব্য করেছেন।


Side banner

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর

Link copied!