• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে


FavIcon
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি :
প্রকাশিত: মার্চ ১৫, ২০২০, ১১:৫৭ এএম
ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে

চুয়াডাঙ্গায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জাহিদুল হাসান পুলিশ হেফাজতে মারা গেছেন। তবে পরিবারের দাবি জাহিদুল ইসলামকে পিটিয়ে হত্যা করেছে পুলিশ। নিহত জাহিদুল ইসলাম দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের মৃত লাল মোহাম্মদের ছেলে এবং চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি।পুলিশ শনিবার বিকেলে তাকে জোরপূর্বক জয়রামপুর বাজার এলাকা থেকে পিকআপ ভ্যানে তুলে নিয়ে যায়। পরে সন্ধ্যায় তাকে হাসপাতালে নিলে ডাক্তার মৃত বলে ঘোষণা করেন জাহিদুল হাসানকে। নিহতের লাশ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে।নিহত জাহিদুল ইসলামের মেজ চাচা পিয়ার মোহাম্মদ বলেন, জাহিদুল ইসলাম আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। এছাড়া তিনি স্থানীয় সীমান্ত যুব উন্নয়ন সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও জয়রামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি। শনিবার বেলা ৫টার দিকে জয়রামপুরে সমিতির ঘর নির্মাণের কাজ দেখাশোনা করছিলেন জাহিদুল ইসলাম। এসময় তিনজন পুলিশ সেখানে গিয়ে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার শিক্ষক হাবিবুর রহমানকে পুলিশ তুলে নিয়ে যাচ্ছিল। পাশে ছিল জাহিদুল হাসান। তিনি হাবিবুরকে তুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি পুলিশের কাছে জানতে চায়। পরে পুলিশের সাথে জাহিদুলের কথাকাটাকাটি হলে তাকে জোর করে পুলিশ ভ্যানে করে দামুড়হুদা থানায় নিয়ে যায়। থানায় নেওয়ার অল্প সময় পর জাহিদুলকে প্রথমে পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে অবস্থার অবনতি হলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।নিহতের লাশ বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে। রোববার সকালে নিহতের লাশের ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।একই অভিযোগ করেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম। তিনি বলেন পুলিশ পরিকল্পিতভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে জাহিদুল ইসলামকে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই। দামুড়হুদা থানার ওসি আবদুল খালেক অভিযোগ অসিকার করে বলেন, জয়রামপুর মাদকের আখড়া থেকে জাহিদুলকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে পিকআপে নেয়ার পর তিনি বুকে ব্যথা অনুভব করেন। দ্রুত সদর হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শামিম কবির জানান, শরীরে আঘাতের চিহৃ নেই। লাশের ময়না তদন্ত করলে হত্যা রহস্য বুঝা যাবে।চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু তারেক জানান, জাহিদুল ইসলামকে দুই বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার করা হয়েছিল। তিনি স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।


Side banner
Link copied!