• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

সরকারি এ্যাম্বুলেন্স চালক চোর চক্রের হোতা


FavIcon
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৫, ২০২১, ০৪:৪৮ পিএম
সরকারি এ্যাম্বুলেন্স চালক চোর চক্রের হোতা

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) এবং আবাসিক মেডিকেল অফিসারের সরকারি কোয়াটারে চুরির ঘটনা ঘটেছে। সংঘবদ্ধ চোর চক্র কোয়াটারের দরজার তালা কেটে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ৬ লাখ টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে।বুধবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে সংঘটিত এ ঘটনায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পুলিশ ওই দিনই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি এ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার একাব্বর আলীসহ চার কর্মচারীকে গ্রেফতার করে।পরে বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) তাদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করলে আদালত তাদের প্রত্যেকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ফুলবাড়ী থানার ওসি রাজীব কুমার রায়।তবে সদ্য বিদায়ী ইউএইচএফপিও ডা. শামছুন্নাহার দাবি করেছেন, এম্বুলেন্স ড্রাইভার একাব্বরের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিতে বাধা দেওয়ায় তাকে হত্যা করাসহ তার বাসার জিনিসপত্র চুরির পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তিনি ওই সময় বাসায় না থাকায় প্রাণে বেঁচে গেছেন।ইউএইচএফপিও ডা. শামছুন্নাহার শুক্রবার দুপুরে মুঠোফোনে বলেন, এই চুরির ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত। এ্যাম্বুলেন্স চালক একাব্বর মূলত ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে তার অপরাধের রাজ্য বানিয়েছিল। সে বিভিন্ন অপকর্মের হোতা। বিভিন্ন অনিয়ম করে উপার্জন করে সে নিজের মালিকানাধীন একটি এম্বুলেন্স ও দুইটি মাইক্রোবাসের মালিক হয়েছে। হাসপাতালের সরকারি এম্বুলেন্স নষ্ট দেখিয়ে তা মেরামতের নামে সে লুটপাট চালাচ্ছিল। সরকারি এম্বুলেন্স বিকলের কথা বলে সে রোগীদেরকে নিজের এম্বুলেন্সে করে পরিবহণ করতো। স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় সে এসব অপকর্ম চালিয়ে আসছিল।সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান জানান, নবনিযুক্ত উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ফুলবাড়ী থানার অফিসার (ওসি) রাজীব কুমার রায় জানান, প্রাথমিকভাবে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে আটককৃত শাহ আলম ও প্রদীপকে চিহ্নিত করা গেছে। ওই দুইজনসহ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার রিমান্ডের প্রথম দিন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে জড়িত সকলকে চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চারদিনের রিমান্ড শেষে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হবে।’

 

 


Side banner
Link copied!