
কিশোরগঞ্জ পৌরসভার স্থগিত কেন্দ্রের ভোট গ্রহণকালে নির্বাচন বর্জন করেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী হাজী ইসরাইল মিয়া। শনিবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে কিশোরগঞ্জ পৌরসভার বিএনপি দলীয় মেয়র প্রার্থী দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।নির্বাচনে অনিয়মের কথা তুলে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। স্থগিত হওয়া এই কেন্দ্রের ভোট ছাড়া তিনি আওয়ামী লীগ প্রার্থীর চেয়ে ৪৮৪ ভোটে পিছিয়ে ছিলেন।তার অভিযোগ, চরম ভয়ভীতি আতঙ্ক সৃষ্টির মাধ্যমে এ নির্বাচন শুরু হয়। কিন্তু ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ভোট কেন্দ্রের দখল নিয়ে নেয়। বের করে দেওয়া হয় বিএনপির এজেন্টদের। তারা সাধারণ ভোটারদের নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে বাধ্য করে। নিজেরাও ব্যালটে সিল মারে।এ সময় নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা পুলিশসহ কর্মকর্তারা কার্যত দর্শক ও সহযোগীর ভূমিকা পালন করে।তিনি অভিযোগ করেন, স্থগিত হওয়া ভোট কেন্দ্রে আজ শনিবার যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তা ‘আনুষ্ঠানিকতা’ ছাড়া আর কিছুই নয়। সাধারণ কোনো ভোটারকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। সকাল থেকেই ওয়ালী নেওয়াজ খান কলেজের এ কেন্দ্রটির মূল ফটকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি বসানো হয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের পাহারা।এ পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে দুপুর ১টায় নির্বাচন থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।জানা গেছে, গত ১৬ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে ২৮টি কেন্দ্রের মধ্যে শহরের ওয়ালী নেওয়াজ খান কলেজের পূর্ব তিনতলা ভবন কেন্দ্রে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া এবং একপর্যায়ে ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের ঘটনায় কেন্দ্রটির ভোটগ্রহণ স্থগিত হয়।স্থগিত কেন্দ্রটি বাদে ২৭টি কেন্দ্রে ঘাষিত বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী মো. পারভেজ মিয়া (নৌকা) পান ২০ হাজার ৯২২ ভোট। অপরদিকে বিএনপি প্রার্থী মো. ইসরাইল মিয়া (ধানের শীষ) পান ২০ হাজার ৪৩৮ ভোট। আওয়ামী লীগ প্রার্থী এগিয়ে ছিলেন ৪৮৪ ভোটে।এ পরিস্থিতিতে আজ ওই স্থগিত কেন্দ্রে আবার ভোট হয়। কেন্দ্রটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ১৮৫২। বিএনপির দাবি, এ ভোট কেন্দ্রটির অবস্থান বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে খ্যাত। বিএনপির অভিযোগ, প্রকৃত ভোটার ভোট দিতে পারেনি। বাইরে থেকে নেওয়া লোকজন ইচ্ছামতো ভোট দিয়েছে।এ সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।তবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ আশ্রাফুল আলম দাবি করেন, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার স্থগিত হওয়া ওয়ালী নেওয়াজ খান কলেজের পূর্ব তিনতলা ভবনের কেন্দ্রটির পুনঃভোট অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :