• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সাংবাদিকের উপর হামলা-মামলার পর এবার গাড়িতে আগুন


FavIcon
ফেনী প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২১, ০৬:২৬ পিএম
সাংবাদিকের উপর হামলা-মামলার পর এবার গাড়িতে আগুন
সাংবাদিকের উপর হামলা-মামলার পর এবার গাড়িতে আগুন

পিতার মৃত্যুবার্ষিকীর আয়োজনে নিজ বাড়িতে গিয়ে স্থানীয় যুবলীগ নেতার হামলার শিকার হয়েছিলেন দৈনিক ইত্তেফাকের বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শরিয়ত উল্যাহ। চলতি মাসের আট তারিখ এ হামলা করেন তারা। পরে ১১ তারিখ আবার মামলা দেন ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে। গত বুধবার ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর মামলা দায়ের করে আসামি শহীদ উল্লার স্ত্রী কোহিনুর আক্তার। হামলার আটদিন এখনো পেরোয়নি। এরই মধ্যে এই গণমাধ্যমকর্মীর বাড়িতে তাদের পারিবারিক একটি পিক-আপ ভ্যানে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।রবিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত তিনটার দিকে এ আগুন লাগায়। এতে গাড়িটি পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে গেছে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল রাতে ব্যবসায়িক কাজ শেষ করে আমরা ঘুমাতে চলে যাই। হঠাৎ রাত তিনটার সময় কিছু একটার পোড়া গন্ধে আমাদের ঘুম ভেঙে যায়। গিয়ে দেখি আমাদের এত শ্রমে কেনা গাড়িটি পুড়ে একেবারে শেষ হয়ে গেছে।নিজেদের অসহায়ত্ব প্রকাশ করে তিনি বলেন, অনেক পরিশ্রম করে গাড়িটি নিজেদের করে নিয়েছিলাম। এখন আমার আর কোনো আশা নেই। সব আশা এক রাতেই ধূলিসাৎ হয়ে গেছে।এ বিষয়ে সোনাগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটা আমি শুনেছি। প্রধান আসামিকে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। রবিবারের ঘটনায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখছি।এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবী জানায়, আমরা বিষয়টি অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। এ ধরনের ঘটনা কখনো কাম্য নয়। আমরা দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাড়িতে আসেন শরিয়ত। সেদিন রাতে তার পরিবারের নিকট চাঁদা দাবি করে স্থানীয় আমিরাবাদ ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব নবী ফরহাদ। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে পরদিন দুপুর ২টায় বাড়ি থেকে বাজারে ডেকে নিয়ে আসেন ফরহাদ। বাজারে কোনও ধরণের কথা ছাড়াই মারধর শুরু করে তাকে। এসময় ফরহাদের নেতৃত্বে ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা সাংবাদিক শরিয়তকে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ২৫০ শয্যা ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করায়। পরে চোখের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠিয়ে দেন চিকিৎসক। এ ঘটনায় এজহার দায়েরের আটদিন পার হলেও গ্রেফতার হয়নি মামলার প্রধান আসামি আইয়ুব নবী ফরহাদ।

 

 


Side banner
Link copied!