
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তুহিনের বিরুদ্ধে থানায় ফরিদা ইয়াছমিন ডলি কর্তৃক জি.ডি এবং তার বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে গত (৫ ই সেপ্টেম্বর) সংবাদ কর্মী রুদ্র সংবাদ প্রকাশ করায় সেই সংবাদের জের ধরে দেশের গর্জন পত্রিকার নরসিংদীর জেলা প্রতিনিধি, সাইফুল ইসলাম রুদ্র কে প্রথমে হুমকি দিলেও গত (৯ ই সেপ্টেম্বর) তার উপর বিতর্কিত হামলা চালানো হয়।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঘটনার দিন এবং সময়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তুহিনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দা, লাঠি, ছোরা, লোহার রড, পাওয়ারলুমের মাইরের কাঠ ইত্যাদি মারাত্মক অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংবাদকর্মী রুদ্রকে নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একা পেয়ে কিছু বলার আগেই এলোপাথারী মারপিট শুরু করে।
আসামীরা লোহার রড দিয়ে সংবাদকর্মী রুদ্র এর বাম হাতে আঘাত করে। এতে সে গুরুতর আহত হয়। অন্যান্য সকল আসামীগণ সংবাদকর্মীকে এলোপাথারী কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে সারা শরীরে নীলাফুলা জখম করে।
এছাড়া আসামীরা সংবাদকর্মীর হাতে থাকা ২টি ক্যামেরা সহ ক্যামেরার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায় যার মূল্য ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা ও পকেটে থাকা ৯ হাজার টাকা জোর পূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
সংবাদকর্মীর ডাক চিৎকারে আশে পাশের সাক্ষীগন ঘটনাস্থলে আসলে আসামীগন দ্রুত চলে যায়। পরবর্তীতে সাক্ষীগণ সংবাদকর্মীকে মারাত্মক আহত অবস্থায় নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করান।
বর্তমানে রুদ্র অনেকটা সুস্থ হলেও চারদিকে আতঙ্ক বিরাজ করছে। যে কোন সময় তার উপর আবারো ভয়ংকর হামলা হতে পারে। এ বিষয়ে রুদ্র বলেন, আমার সহকর্মী ও সিনিয়রদের সাথে পরামর্শ করে আমি আইনগত ব্যবস্থা নিবো।
আপনার মতামত লিখুন :