• ঢাকা
  • বুধবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৫, ১২ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

নওগাঁর সহকারী ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ–দুর্নীতি ও কোটি টাকার সম্পদের অভিযোগ


FavIcon
নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৬, ২০২৫, ১২:০৭ পিএম
নওগাঁর সহকারী ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ–দুর্নীতি ও কোটি টাকার সম্পদের অভিযোগ

নওগাঁয় খাজনা–খারিজ, নামজারি ও সরকারি জমি ব্যক্তি মালিকানায় দেওয়ার বিনিময়ে নিয়মিত ঘুষ নেওয়া এবং নামে–বেনামে কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ গড়ে তোলার অভিযোগ উঠেছে এক সহকারী ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত মৌদুদুর রহমান কল্লোল, যিনি নওগাঁ সদর–চন্ডিপুর ইউনিয়নে দায়িত্ব পালন শেষে বর্তমানে বদলি হয়ে মহাদেবপুর উপজেলার রাইগাঁ–এনায়েতপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরত।

স্থানীয় সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের সাবেক ক্ষমতাসীনদের ছত্রছায়ায় থেকেই কল্লোল প্রভাবশালী হয়ে ওঠেন। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগে বলা হয়েছে—খাজনা, খারিজ কিংবা নামজারি—কোনো কাজই ঘুষ ছাড়া সম্পন্ন হতো না। বিভাগীয় পর্যায়ের কেউ প্রতিবাদ জানালে তাদেরকেই নানাভাবে হয়রানি করা হতো বলেও অভিযোগ রয়েছে।

সম্প্রতি মধ্য–দুর্গাপুর এলাকায় ঈদগাহের ২৪ শতাংশ জমির খারিজ করতে ৫৫ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ প্রকাশ্যে এলে একের পর এক দুর্নীতির তথ্য বেরিয়ে আসতে শুরু করে। তার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে দেওয়া অভিযোগপত্রে উঠেছে সরকারি জমি ব্যক্তিমালিকানায় দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগও।

গত ১৮ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থী মঞ্চ নওগাঁ সদ্যবিদায়ী জেলা প্রশাসক গোলাম মওলার কাছে স্মারকলিপি দিয়ে কল্লোলের অপসারণ ও তদন্তের দাবি জানায়। পরদিনই—১৯ আগস্ট—জেলা প্রশাসন তাকে সদর থেকে সরিয়ে মহাদেবপুর উপজেলার রাইগাঁ–এনায়েতপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে বদলি করে।

জেলা প্রশাসন সূত্র বলছে, “ঘুষ ছাড়া কোনো সেবা দেওয়া হয় না—এমন অভিযোগ বহুদিন ধরে জমা হয়ে ছিল। ভূমি অফিসে গড়ে ওঠা ঘুষ সিন্ডিকেটের অন্যতম প্রধান ছিলেন কল্লোল।”

অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, শহরের দুর্গাপুর মৌজায় এনিমি প্রোপার্টিসহ ১০–১২ বিঘা জমি তার বেয়াই ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর নাজমুল হক মন্টুর দখলে রয়েছে, যা কল্লোলের সম্পদ বলে স্থানীয়দের দাবি। এছাড়া নওগাঁ শহরের বিভিন্ন স্থানে নামে–বেনামে আরও কোটি কোটি টাকার সম্পদেরও সন্ধান মিলেছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ—“তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও বরাবরই কোনো ব্যবস্থা হয়নি। রাজনৈতিক সুরক্ষা থাকায় কেউ কিছু বলতে পারত না।”

কল্লোলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগে ইতোমধ্যে বিভাগীয় তদন্তের দাবি জোরালো হচ্ছে। স্থানীয় জনমনে প্রশ্ন—“এক সহকারী ভূমি কর্মকর্তা কীভাবে অল্প সময়ে এত সম্পদের মালিক হলেন?”

বিস্তারিত আসছে…


Side banner

অপরাধ বিভাগের আরো খবর

Link copied!