• ঢাকা
  • রবিবার, ০৪ মে, ২০২৫, ২০ বৈশাখ ১৪৩২

৮ মাস পর প্রকাশ্যে আবু সাঈদ হত্যার আসামি পোমেল, গ্রেপ্তারের দাবি শিক্ষার্থীদের


FavIcon
অনলাইন ডেস্ক:
প্রকাশিত: মে ৩, ২০২৫, ১১:৫৭ এএম
৮ মাস পর প্রকাশ্যে আবু সাঈদ হত্যার আসামি পোমেল, গ্রেপ্তারের দাবি শিক্ষার্থীদের

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৬ জুলাই পুলিশের গুলিতে শহীদ হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। এ ঘটনার পর সারাদেশে আন্দোলনে নামে সাধারণ মানুষ। যার ধারাবাহিকতায় পতন হয় স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের।

তবে, চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের অধিকাংশ আসামি এখনও গ্রেপ্তার হননি।এমনকি ওইদিন আবু সাঈদ সহ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর দফায় দফায় হামলায় নেতৃত্ব দেওয়া নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতারাও রয়েছেন ধরাছোয়ার বাইরে।শিক্ষার্থীরা জানান, ১৬ জুলাই শহীদ হওয়ার আগে আবু সাঈদকে দুই দফায় পিটিয়েছেন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের বেরোবি শাখার সভাপতি পোমেল বড়ুয়া। ১৬ জুলাই তার নেতৃত্বেই শিক্ষার্থীদের ওপর দফায় দফায় হামলা চালানো হয়। আবু সাঈদকে গুলি করা পুলিশ সদস্যের সঙ্গেই ঘটনাস্থলে ছিলেন তিনি।

পরে আবু সাঈদের মৃত্যুর ঘটনা জানাজানি হলে শিক্ষার্থীরা সংবদ্ধ হয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে প্রাচীর টপকে পালিয়ে যান পোমেল বড়ুয়া ও অন্য সন্ত্রাসীরা। এরপর গত ৮ মাস কোনোভাবেই প্রকাশ্যে আসেননি তিনিসহ পলাতক ছাত্রলীগ নেতাদের কেউ।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, সম্প্রতি ফেসবুকে সক্রিয় দেখা যাচ্ছে ছাত্রলীগ সভাপতি পোমেল বড়ুয়াকে। বেশ কয়েকদিন ধরে সরকারবিরোধী বিভিন্ন প্রচারণা চালাচ্ছেন তিনি।একইসঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের নানাভাবে হুমকিও দিচ্ছেন।

 

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া সাবিহা আক্তার বলেন, হঠাৎ করে ফেসবুকে সক্রিয় হয়ে ছাত্রলীগের পোমেল আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন। প্রশাসন বিষয়টি জেনেও তাকে গ্রেপ্তারে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না।

একটি সূত্র জানায়, ১৬ জুলাই আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের পর ক্যাম্পাস থেকে পালিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের কোনো একটি এলাকায় আত্মগোপনে যান পোমেল বড়ুয়া। বর্তমানেও ওই এলাকায় অবস্থান করে ফেসবুকে সরকার, এনসিপি, বিএনপি, জামায়াত, শিবির, ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছেন তিনি।

এদিকে, পোমেল বড়ুয়ার এসব হুমকি ও তাকে গ্রেপ্তার না করার ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। তারা বলছেন, আন্দোলনে সরকার পতনের পর রাজনৈতিক দলগুলো নানাভাবে লাভবান হয়েছে। প্রশাসনেও অনেকেই পদোন্নতি পেয়েছেন। কিন্তু আমাদের নিরাপত্তার জন্য কেউ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এমনকি পোমেলের মতো চিহ্নিত সন্ত্রাসীকেও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।

রাসেল আহমেদ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, পুলিশ চাইলে দেশে অবস্থানরত যেকোনো আসামিকে মুহুর্তের মধ্যেই গ্রেপ্তার করতে পারে। কিন্তু পোমেল বড়ুয়াকে গ্রেপ্তারে পুলিশের কোনো তৎপরতা দেখা যায় না। অথচ বিগত সময়ে এ ধরনের সন্ত্রাসীদের ধরতে পুলিশকে বেশ সক্রিয় দেখা গিয়েছিল। পোমেল গ্রেপ্তার না হওয়া এবং তার অব্যাহত অপপ্রচারে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।

এ বিষয়ে রংপুর তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তারুজ্জামান বলেন, আবু সাঈদ হত্যা মামলা আমাদের হাতে নেই। এটি পিবিআইয়ের কাছে ট্রান্সফার করা হয়েছে। এ বিষয়ে ওনারা ভালো বলতে পারবেন।


Side banner
Link copied!