
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থী প্রত্যাশা মজুমদার অথৈকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় প্রেমিক ইয়াছিন মজুমদারকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম মিজবাউর রহমানের আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন। আজ বৃহস্পতিবার সূত্রাপুর থানার আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের উপপরিদর্শক অনুপম দাস এ তথ্য জানিয়েছেন।আদালত সূত্রে জানা গেছে, বুধবার আসামি ইয়াছিন মজুমদারকে আদালতে হাজির করা হয়।এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সূত্রাপুর থানার উপপরিদর্শক জাহিদুল হক তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
প্রত্যাশা মজুমদার অথৈকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে তার বাবা প্রণব মজুমদার বাদী হয়ে গত ৩০ এপ্রিল সূত্রাপুর থানায় মামলা করেন। এতে লালবাগ থানাধীন এলাকায় জমিদারি ভোজ নামক রেস্টুরেন্টের ওয়েটার ইয়াছিন মজুমদারকে আসামি করা হয়।মামলার অভিযোগে বলা হয়, চট্টগ্রামের আকবর শাহ থানাধীন এলাকায় অথৈ ও মো. ইয়াছিন মজুমদারের বাড়ি। তারা একই স্কুলে পড়াশোনা করত। সেখান থেকেই ইয়াছিন অথৈকে উত্ত্যক্ত করতেন। অথৈ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে সূত্রাপুর এলাকায় বসবাস শুরু করেন।ইয়াছিনও ঢাকায় চলে এসে লালবাগ জমিদারি ভোজ রেস্টুরেন্টে ওয়েটারের চাকরি নেন। পূর্বের ন্যায় সে অথৈকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে এবং কৌশলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে অপমানজনক কথা, মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে অথৈকে। গত ২৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত উৎসবে অনুশীলন শেষে মেসে ফিরছিল অথৈ। পথে ইয়াসিন অথৈকে গালমন্দ করে ও উৎসবে অংশ না নিতে চাপ দেয়।মানসিক নিপীড়ন সহ্য করতে না পেরে সে সূত্রাপুরের লক্ষ্মীবাজারের মেসরুমে চলে যায়।
কিছুক্ষণ পর ইয়াছিন রুমের সামনে গিয়ে অন্যদের অথৈকে ডাকতে বলে। পরে মেসের মালিকের স্ত্রী মোসাম্মাৎ জোৎস্না বেগমের উপস্থিতিতে ইয়াছিন রুমের দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে অথৈকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়।
পরে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অথৈকে মৃত ঘোষণা করেন।
আপনার মতামত লিখুন :