
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (রুয়া) কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন স্থগিত করেছেন সংগঠনটির অ্যাডহক কমিটি। এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ও নির্ধারিত দিনেই নির্বাচনের দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান করছে রাজশাহীস্থ অ্যালামনাসসহ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পূর্ব নির্ধারিত তারিখে রুয়া নির্বাচনের সিদ্ধান্ত না আসলে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (১ মে) বিকাল চারটার দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন তারা।এ সময় সমাবেশে ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতাকর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদেরও অবস্থান নিতে দেখা যায়।
বিক্ষোভ সমাবেশে তারা ‘রুয়া নিয়ে টালবাহানা, চলবে না চলবে না’, ‘সিন্ডিকেট না নির্বাচন, নির্বাচন নির্বাচন’, ‘সিন্ডিকেট না রুয়া, রুয়া রুয়া’, ‘সিলেকশন না ইলেকশন, ইলেকশন ইলেকশন’, ‘অ্যাডহক না নির্বাচন, নির্বাচন নির্বাচন’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
[[
এ সময় রাবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আজকে রুয়া নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান এবং সাবেক শিক্ষার্থীরা মনক্ষুণ্ন হয়েছে।যেই প্রশাসন রুয়া নির্বাচন দিতে পারে না তারা কিভাবে রাকসু নির্বাচন বাস্তবায়ন করবে। আমরা নির্ধারিত সময়ে রুয়া নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েই এখান থেকে প্রস্থান করব। তা না হলে আমাদের আন্দোলন চলবে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রুয়া অ্যাডহক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ৯ মে পুনর্মিলনী এবং ১০ মে রুয়ার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।কিন্তু গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করে জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী সাবেক শিক্ষার্থীরা। এদিকে গতকাল ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে রুয়া নির্বাচন কমিশনের প্রধান কমিশনার পদত্যাগ করেন। সেই সঙ্গে গতকাল গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদের বাসভবনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ পরিস্থিতিতে আজ দুপুরে নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানিয়ে নোটিশ জারি করে রুয়ার অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহা. ফরিদ উদ্দিন খান। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ছাত্র-শিবিরের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করছেন।
আপনার মতামত লিখুন :