• ঢাকা
  • রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

গেস্টরুমে বসা নিয়ে ছাত্রলীগের মারামারি ।


FavIcon

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৯, ০৭:৫৩ পিএম
গেস্টরুমে বসা নিয়ে ছাত্রলীগের মারামারি ।

আবাসিক হলের গেস্টরুমে বসা নিয়ে দলীয় কর্মীদের মারধর করল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতারা।

দু'দফা মারামারিতে ৭ জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে মাদার বক্স হলের গেস্টরুমের ঘটনার পর দুপুর দেড়টার দিকে মারামারি হয়। আহতরা হলেন, দর্শন বিভাগের একরাম হোসেন রিওন, মারুফ পারভেজ, রনি, জসিম, ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগের লিমন, লোক প্রশাসনের সোহেল ও ইতিহাস বিভাগের রাজিব।

মারধরের শিকার ৭ জন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য সাকিবুল হাসান বাকির অনুসারী। এদিকে মারধরকারীরা শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর অনুসারী।

এ বিষয়ে সাকিবুল হাসান বাকি বলেন, ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে আমি সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ছিলাম। সেখানে এক বছর মেয়াদি কমিটি ঘোষণা করা হয়। আমি শাখা ছাত্রলীগে কোনো পদ পায়নি। এক বছরের কমিটি তিন বছর হয়ে গেছে। এ তিন বছর ধরেই আমার ছেলেদের ওপর নির্যাতন করা হচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১২টার দিকে গেস্টরুমে ছিলেন ছাত্রলীগ কর্মী কামরুল। এসময় বাকির অনুসারী লিমন গেস্টরুমে আসেন। সেখানে বসা নিয়ে দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। পরে সেই ঘটনা হলের সামনে মারামারিতে গড়ায়।

তবে সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, গেস্টরুমে ঝামেলার পর লিমন বন্ধুদের নিয়ে কামরুলের রুম ভাঙচুর করে। পরে কামরুল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বিষয়টি জানালে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

এদিকে একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সহ-সভাপতি সুরঞ্জিত প্রসাদ বৃত্ত, আরিফ বিন জহির, মিজানুর রহমান সিনহা, সাংগঠনিক সম্পাদক চঞ্চল কুমার অর্ক, ছাত্রলীগ কর্মী সুব্রত মারামারিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

যদিও সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক রুনু মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান বলেন, গেস্টরুমে বসা নিয়ে দুই আবাসিক শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রথমে ঘটনার সূত্রপাত। পরে একটি বড় ঘটনা ঘটতে যাচ্ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। প্রক্টরিয়াল বডি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যেকোনো ঘটনা নিয়ন্ত্রণের জন্য তৎপর আছেন।


Side banner
Link copied!