নেপালে বাস দুর্ঘটনায় ৪১ জন নিহত হয়েছেন। তাদের অধিকাংশ ভারতীয়। মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী গিরিশ মহাজন শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাতে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।এনডিটিভি ও আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাসটি উত্তরপ্রদেশ থেকে যাত্রী নিয়ে নেপালে গিয়েছিল। ঘটনার সময় পোখরা থেকে কাঠমান্ডুর দিকে যাচ্ছিল বাসটি। পথে তনহুঁ জেলার মারশিয়াংড়ি নদীতে বাসটি পড়ে যায়। তবে কীভাবে বাসটি দুর্ঘটনায় পড়ল তা এখনও জানা যায়নি।
স্থানীয় বাসিন্দারা নদীতে বাসটি পড়ে থাকতে দেখে কর্তৃপক্ষকে খবর দেন এবং নিজেরাই উদ্ধারের চেষ্টা করেন। কিন্তু যাত্রীদের অধিকাংশকেই মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী গিরিশ মহাজন জানান, ওই বাসে ৪৩ জন যাত্রী ছিলেন। তবে ঠিক কত জন মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা ছিলেন তার সঠিক পরিসংখ্যান এখনও তাদের হাতে আসেনি। রাজ্য সরকার দিল্লি, নেপালের প্রশাসন ও ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। কেন্দ্র জানিয়েছে, বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে মরদেহ ভারতে ফিরিয়ে আনা হবে। পরে পরিচয় নিশ্চিত হয়ে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
তিনি আরও জানান, নিহতরা নেপালে ঘুরতে গিয়েছিলেন। সেখানে পোখরা শহরের একটি রিসর্টে ছিলেন। সেখান থেকে কাঠমান্ডু যাচ্ছিলেন তারা। বাসটিতে উত্তরপ্রদেশের নম্বরপ্লেট ছিল। ভারত দুর্ঘটনার কারণ জানতে চায়। নেপাল প্রশাসনের সঙ্গে কথা হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখছে তারা।
এ বিষয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডেও জানান, তিনি নেপালের বাস দুর্ঘটনার বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলেছেন। মরদেহ দ্রুত সময়ে দেশে ফিরিয়ে আনতে কাজ চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :