• ঢাকা
  • শনিবার, ২৪ মে, ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

শরীয়তপুরে জেলা প্রশাসকের আর্থিক সহায়তা প্রদান


FavIcon
নুরুজ্জামান শেখ, শরীয়তপুরঃ
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৩, ০৯:০৩ পিএম
শরীয়তপুরে জেলা প্রশাসকের আর্থিক সহায়তা প্রদান
ছবি: সংগৃহীত

শরীয়তপুর সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম সোনামুখী গ্রামের দরিদ্র কৃষক হুমায়ুন আহমেদ গাজীর গোয়াল ঘরে আগুন লেগে চারটি গবাদি পশু গরু পুড়ে নিহত হয় এবং ওই আগুনে গোয়াল ঘরের পাশে থাকা তাদের একমাত্র বসত ঘরটি পুড়ে বাসযোগ্যহীন হয়ে পড়েছে। গত ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে গোয়াল ঘরে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবার সূত্রে জানা গেছে গোয়াল ঘরে আগুনের সূত্রপাত ঘটার সময় ওই পরিবারের কোন সদস্যই বাড়িতে ছিলনা। কিভাবে গোয়াল ঘরে আগুনের সূত্রপাত ঘটলো এই সম্পর্কে ভুক্তভোগী পরিবার থেকে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয়দের মধ্যে অনেকেরই ধারণা হয়তোবা মশার কয়েল থেকে আগুন লাগতে পারে আবার পূর্ব শত্রুতা জেরে কেউ ক্ষতি করার জন্য আগুন লাগিয়ে দিতে পারে। তবে বিষয়টি প্রশাসনের মাধ্যমে খতিয়ে দেখা হোক। গোয়াল ঘরের আগুন লেহিয়ান শিখা দেখে পাশের প্রতিবেশীরা আগুন নেবার চেষ্টা করেছেন আবার অনেকেই আগুন নেভাতে এসেও ব্যর্থ হয়েছেন। কারণ হুমায়ুন গাজীর বাড়ির সামনে খাল আছে। সারা বছরই নৌকা যুগে ওই খাল পার হতে হয়। বাড়ির সামনে খাল থাকার কারণে ওই গোয়ালঘর সহ বসতঘরের আগুন নিভাতে ব্যর্থ হয় স্থানীয়রা। গোয়াল ঘরে আগুন লাগার কারণে ওই গোয়াল ঘরে থাকা পেটে বাচ্চা সহ তিনটি গাভী এবং একটি সার বাছুর পুড়ে নিহত হয়। ওই গোয়াল ঘরের আগুন থেকে ৪০ মন পাট এবং গুরুত্বপূর্ণ মালামাল সহ বসত ঘরটি পুড়ে ধ্বংস হয়। স্থানীয়দের ধারণা আগুনে পুড়ে ওই কৃষকের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হবে কমপক্ষে ১০থেকে ১৫লক্ষ টাকা। গরুসহ গোয়ালঘর এবং বসত ঘরটি পুড়ে যাওয়ার কারণে ওই পরিবারটি একেবারেই নিঃস্ব। আগুনে পুড়ে গরু নিহত হওয়ার ঘটনার বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিক ওই রাতেই জেলা প্রশাসককে জানানো হয়। পরের দিন ২৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১১ টার দিকে জেলা প্রশাসক মোঃ নিজাম উদ্দিন আহমেদ এর নির্দেশনায় সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুনে পুড়ে নিঃস্ব হওয়া পরিবারটিকে খাদ্য সামগ্রী এবং কম্বলসহ নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। নির্বাহী কর্মকর্তার আর্থিক সহায়তা প্রধানকালে ঘটনাস্থলে থাকা রুদ্রকর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ সিরাজ ঢালী ওই অসহায় পরিবারকে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। চেয়ারম্যান মোঃ সিরাজ ঢালী গণমাধ্যম কর্মীকে বলেন আগুনে পুড়ে যাওয়া নিঃস্ব পরিবারকে দু মাসের খাবার ব্যবস্থা করবেন এবং ওই পরিবারকে বসতঘর তুলে দেওয়ার আশ্বাস দেন।


Side banner
Link copied!