
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে প্যারাসেইলিং থেকে ছিটকে পড়ে এবার এক পর্যটক দম্পতি আহত হয়েছেন। তবে পানিতে পড়ে যাওয়ায় তারা প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে সৈকতের প্যারাসেইলিং সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ মে) বিকেলে কক্সবাজারের দরিয়া নগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন, কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাফিজ ইনতেসার নাফি।তিনি কক্সবাজার প্যারাসেইলিং সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।’
ম্যাজিস্ট্রেট নাফি বলেন, নিয়মানুযায়ী কেবল একজনকে নিয়ে প্যারাসেইলিং বিনোদন করার কথা। কিন্তু মঙ্গলবারের ঘটনায় এক সঙ্গে দুজন অর্থাৎ দম্পতিকে নিয়ে বিনোদন করাতে গিয়ে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় ছিটকে পড়েন।
জেলা প্রশাসন পরিচালিত সৈকত ব্যবস্থাপনা কমিটির কর্মী মাহবুবুল আলম দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে জানতে পারেন, প্যারাসেইলিং মালিক ফরিদ আলম আহত পর্যটক দম্পতিকে সেখান থেকে চিকিৎসার নামে সরিয়ে ফেলেন।তবে তাৎক্ষণিক আহত পর্যটকদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। ওই পর্যটক দম্পতি দুই পা এবং কোমরে আঘাত পেয়েছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা প্যারাসেইলিং পরিচালনার মালামাল জব্দ করেছি। তবে মালিক ও কর্মীরা পালিয়েছেন। কক্সবাজার প্যারাসেইলিং সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
জানান ‘দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে আমি প্যারাসেইলিং বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিলাম। কিন্তু একজন তা না মেনে তা চালু রাখে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা প্যারাসেইলিং পরিচালনার মালামাল জব্দ করেছি। তবে মালিক ফরিদও কর্মীরা পালিয়েছেন।
ঘটনার পর প্যারাসেইলিং পরিচালনাকারীরা ওই দম্পতিকে দ্রুত সেখানে থেকে সরিয়ে নেন বলে জানা গেছে। তারা এখন কোথায় আছেন, তা জানতে চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাফিজ ইনতেসার নাফি। কক্সবাজারের সব হাসাপাতাল-ক্লিনিকে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ট্যুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ জানিয়েছেন, প্যারাসেইলিংয়ের মালিক ফরিদকে আইনের আওতায় আনতে সন্ধান করা হচ্ছে।
এর আগে একই এলাকায় ২০২৪ সালের জুন মাসে এক পর্যটক নারী একইবারে পড়ে গুরুতর আহত হন। এর প্রেক্ষিতে প্যারাসেইলিং পরিচালনা কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা হলেও কিছুদিন পর আবারও চালু করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :