• ঢাকা
  • শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

শরীয়তপুরে ২৮৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা, নিরীহ লোককে আসামী করার অভিযোগ


FavIcon
নুরুজ্জামান শেখ, শরীয়তপুরঃ
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৫, ২০২৫, ০২:২৯ পিএম
শরীয়তপুরে ২৮৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা, নিরীহ লোককে আসামী করার অভিযোগ

নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামীলীগ ১৩ নভেম্বর লকডাউন নামের কর্মসূচী পালন করার লক্ষ্যে শরীয়তপুরে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে গত বৃহস্পতিবার ভোর ৬টায় জাজিরার পদ্মাসেতু এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও ককটেল বিস্ফোরন করেছে। এ ঘটনায় পদ্মা সেতু দক্ষিন থানার এসআই মোঃ আকরাম হোসেন বাদী হয়ে পদ্মাসেতু দক্ণি থানায় গত ১৪ নভেম্বর/২৫ ২৮৮ জনের নাম উল্লেখ সহ ৫০০/৭০০ জনের অজ্ঞাত নামা আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলার প্রধান আসামী শরীয়তপুর-১ আসনের সাবেক এমপি আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন অপু। এজাহারে উল্লেখিত আসামীদের তালিকায় দেখা গেছে অনেক নির্দোষ লোকের নাম অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ ঐ ঘটনায় যারা জড়িত ছিল না তাদেরকে ও অর্ন্তভুক্ত করে শুক্রবার রাতে শহরের বাসা বাড়িতে পুলিশ দিয়ে তল্লাসীর নামে হয়রানি করা অভিযোগ উঠেছে। 

উল্লেখ্য যে, এ মামলার ৬৮ ও ৬৯ আসামীরা এ ঘটনায় জড়িত ছিল না বলে দাবী করছেন। স্থানীয় দ্বন্দের কারো পুলিশের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে তাদের কে আসামী করা হয়েছে। অথচ ২০২৪ সালে জুলাই আন্দোলনে যারা ছাত্রজনতার উপর হামলা, মামলা নির্যাতন করেছে, যারা এ শহরে প্রকাশ্যে বে-আইনী অস্ত্র প্রদর্শন করে মানুষকে জিম্মি করেছে পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার না করে আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে পুর্নবাসন করেছে। এখনো শহরে শীর্ষ সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে ঘুরছে। তারা নেতাকর্মীদের নিয়ে লকডাউনের নামে নাশকতা সৃষ্টি করে ১৩ নভেম্বর শরীয়তপুরের জাজিরার পদ্মা সেতু এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে প্রায় ২ ঘন্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ করে রাখে। এ সময় স্থানী জনতা তিন জনকে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। এদেরকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সত্য উদঘাটিত হবে। অথচ পুলিশ কারো ইন্দনে টাকার বিনিময়ে ঘটনার সাথে জড়িত নয় এমন লোকজনদেরকে আসামী করে ধান্দার ব্যবস্থা করেছে। এ বিষয়টি পুলিশ সুপারকে অবহিত করা হয়েছে। তিনি বলছেন, নিরিহ কেউ আসামী হয়ে থাকলে তাদের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে। তার পরে ও পালং মডেল থানার ওসি সহ পুলিশ ঐ সকল বাসায় তল্লাসীর নামে হয়রানি করেছে। এলাকার মানুষ প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় এনে নির্দোষ লোকদেরকে এ হয়রানি মূলক মামলা থেকে অব্যাহতি চায়।

এ ব্যাপারে মামলায় উল্লেখিত ৬৮ ও ৬৯ নং আসামী রাসেদ সরদার ও ইমরান সরদার বলেন, আমরা এ ঘটনায় জড়িত না। ঘটনার সময় আমরা শরীয়তপুর শহরেই ছিলাম। আমাদেরকে কারো কথায় শত্রæতা করে আসামীর তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। তদন্ত করে এ মিথ্যা অভিযোগের মামলা থেকে আমরা অব্যাহতি চাই।

এ ব্যাপারে শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার মোঃ নজরুল ইসলাম পিপিএম বলেন, ঘটনার পর পুলিশ যাচাই বাছাই করে আসামীদের নামে মামলা রেকর্ড করেছে। এ মামলায় যদি নিরীহ কেউ আসামী পড়ে থাকে সেটা আমরা বিবেচনায় রাখবো।


Side banner
Link copied!