
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সাধারণ শিক্ষার্থীরা সাম্প্রতিক ঘটনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা ও অবস্থান স্পষ্ট করে শিক্ষকদের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন। সোমবার (৫ মে) বিকেলে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. হযরত আলীর কাছে এ চিঠি তুলে দেওয়া হয়। এর আগে সকালে উপাচার্যের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় শিক্ষকদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনার বিষয়ে সম্মত হন শিক্ষার্থীরা।
খোলা চিঠির সঙ্গে শিক্ষার্থীরা পূর্বে প্রকাশিত চিঠি ও কিছু চিহ্নিত ভুয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আইডির তালিকা দিয়েছেন।
খোলা চিঠিতে শিক্ষকদের উদ্দেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আপনারা আমাদের গুরু, আমাদের পিতৃতুল্য, আমাদের আলোকবর্তিকা। আপনাদের শিক্ষা, দিকনির্দেশনা ও স্নেহই আমাদের জীবনের পাথেয়। আমরা আপনাদের ছত্রচ্ছায়ায় মানুষ হতে চাই, বড় হতে চাই।’
সাম্প্রতিক ঘটনায় ক্ষমা প্রার্থনা করে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমরা আপনাদের সামনে নতমস্তকে দাঁড়িয়ে, হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে গভীরভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।যদি আমাদের কোনো আচরণ, কোনো বক্তব্য বা পরিস্থিতি আপনাদের মনে সামান্যতম কষ্ট দিয়ে থাকে, তবে আমরা তার জন্য লজ্জিত, দুঃখিত ও অনুতপ্ত।’
এই আন্দোলন কখনোই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ছিল না জানিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘একটি কুচক্রী ও স্বার্থান্বেষী মহল নিজেদের অসততা ঢাকতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া আইডির মাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে গুজব ও প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। এসব মিথ্যা প্রচারণা শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্ককে আরো বিপন্ন করার ঘৃণ্য চেষ্টা করছে। আমাদের আন্দোলন কখনোই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ছিল না।আমাদের আন্দোলনটি ছিল একটি ব্যর্থ প্রশাসনের বিরুদ্ধে।’
সর্বশেষে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে শিক্ষার্থীরা জানান, ‘আমরা আপনাদের সন্তানের মতো এবং সন্তান ভুল করতেই পারে। কিন্তু সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ফেরার চেষ্টাটাই তার সবচেয়ে বড় শক্তি। আমরা অনুতপ্ত।’
প্রসঙ্গত, অচলাবস্থার দুই মাসের বেশি সময় পর ৪ মে বিশ্ববিদ্যালয়টি খুলে দিলেও শিক্ষকদের লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে ক্লাস বর্জন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি।
আপনার মতামত লিখুন :